ঢাকা বার নির্বাচন, সব পদে আ.লীগ প্রার্থীদের বিজয়

ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২৪ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সবকটি পদে আওয়ামী লীগ পন্থি সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার পর ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু।

তিনি বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২৪ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে সাদা প্যানেলের সব প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন মিজানুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক পদে খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জুবায়ের, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রুমানা জামান রীতু, সহ-সভাপতি পদে প্রাণ নাথ ও ট্রেজারার পদে বিবি ফাতেমা মুন্নী।

সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ফাহিম শরীফ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব হোসেন জয়, মো. রেজাউল হক রিপন লাইব্রেরি সম্পাদক, শিখা ইসলাম সাংস্কৃতিক সম্পাদক, মো. গোলাম কিবরিয়া সুমন দপ্তর সম্পাদক, এস এম মিজানুর রহমান ক্রীড়া সম্পাদক ও মো. আবুল হাসনাত জিহাদ সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. কামাল হোসেন, গাজী ইমরুল, আসলাম হোসেন, ইয়াসিন জাহান ভূঁইয়া (নিশান), মো. তানজির হোসেন রবিন, অ্যাডভোকেট শারমিন সুলতানা টুম্পা, ইসমত আরা শারমিন (রীমু), মো. আশিকুল ইসলাম মুরাদ, সঞ্জয় কুমার কর্মকার, জহির উদ্দিন জহির এবং নাছির উদ্দীন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ভোট গণনা শুরু হয় শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে।১৯ হাজার ৬১৮ জন ভোটারের মধ্যে ২ দিনে ভোট দিয়েছেন নয় হাজার ২৪৩ জন আইনজীবী।

এদিকে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে সরে দাঁড়ায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সমর্থক জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থীরা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের মুড়ি বই, ব্যালট পেপার, স্লিপ নিয়ে তারা সঙ্কট তৈরি করেছে। সে কারণে আমরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। আমাদের কেউ এখন ভোটের মাঠে নেই।

এর আগে, বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শেষে রাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন নীল প্যানেলের মনোনীত সভাপতি প্রার্থী খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

এ সময় তারা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানান। ভোট বর্জনের পাশাপাশি তারা ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর