ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে পরিত্যক্ত জমিতে কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৩৩:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৯ বার

নোয়াখালীতে প্রথমবারের মতো কুল আবাদ করে সফল হয়েছে কয়েকজন যুবক। কৃষিভিত্তিক সংগঠন ‘নব আলো এগ্রিকালচার’ অধীনে ২০২১ সালে শুরু করা হাজারের বেশি গাছের কুল বাগানে এখন বছরে আয় অন্তত ১০ লাখ টাকা।

নিবিড় পরিচর্চা, জৈব সারের ব্যবহার ও সরকারি সহায়তা পেলে নোয়াখালীর লবণাক্ত ও পরিত্যক্ত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কুলের আবাদ সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

২০২১ সাল। স্কলারশিপ নিয়ে জাপান যাওয়ার কথা ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর। কিন্তু মহামারী করোনায় সে স্বপ্ন ভেঙে যায় তার। পরে বাড়ির পাশেই নিজদের ও প্রতিবেশিদের পরিত্যক্ত আড়াই একর জমি লিজ নেয় সাইফুল ও তার কয়েকজন বন্ধুর কৃষিভিত্তিক সংগঠন ‘নব আলো এগ্রিকালচার’।

সেখানে গড়ে তোলা হয় চার জাতের কুলের বাগান। সাথে পেঁপে ও পেয়ারা। মূলত কুল বাগান লক্ষ্য হলেও মাত্র দুই বছরের মাথায় তাদের কুল বাগান এখন সমন্বিত কৃষি খামারে রূপ নিয়েছে। ৮ লাখ টাকা ব্যয় করে এখন প্রতি বছর আয় করছেন ১০-১২ লাখ টাকা। স্বপ্ন দেখছেন এ কৃষি খামার আরো

নোয়াখালীর লবণাক্ত মাটিতে কুল বাগানের এমন সফলতা দেখতে প্রতিদিনই বাগানে আসেন দর্শনার্থীরা। সুস্বাদু এ কুল কিনেও নেন তারা। এছাড়া পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন কুল। যা অল্প সময়ে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় বাজার। এখানে কর্মসংস্থানও হয়েছে অনেকের।

উদ্যোক্তাদের মতে, প্রথম বছর প্রতি গাছে ১৫-২০ কেজি করে কুল ধরলেও, দ্বিতীয় বছর থেকে প্রতি গাছে কুল পওয়া যাচ্ছে ৩৫-৪০ কেজি পর্যন্ত। চলতি মৌসুমে অন্তত ১৫ টন কুল উৎপাদন হবে তাদের।

কৃষি সম্প্রসারণ বলছে, চলতি বছর জেলায় ১১৩ একর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। পরিত্যক্ত জমিতে আবাদ বাড়াতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে কৃষি বিভাগ।

সরকারি উদ্যোগে পরিকল্পতভাবে জেলার পরিত্যক্ত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে সমন্বিত ফলের বাগান গড়ে তোলা গেলে একদিকে যেমন পুষ্টি চাহিদা মিটবে, তেমনি বেকারত্ব দুর করারও সুযোগ থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নোয়াখালীতে পরিত্যক্ত জমিতে কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে

আপডেট টাইম : ০১:৩৩:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নোয়াখালীতে প্রথমবারের মতো কুল আবাদ করে সফল হয়েছে কয়েকজন যুবক। কৃষিভিত্তিক সংগঠন ‘নব আলো এগ্রিকালচার’ অধীনে ২০২১ সালে শুরু করা হাজারের বেশি গাছের কুল বাগানে এখন বছরে আয় অন্তত ১০ লাখ টাকা।

নিবিড় পরিচর্চা, জৈব সারের ব্যবহার ও সরকারি সহায়তা পেলে নোয়াখালীর লবণাক্ত ও পরিত্যক্ত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কুলের আবাদ সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

২০২১ সাল। স্কলারশিপ নিয়ে জাপান যাওয়ার কথা ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর। কিন্তু মহামারী করোনায় সে স্বপ্ন ভেঙে যায় তার। পরে বাড়ির পাশেই নিজদের ও প্রতিবেশিদের পরিত্যক্ত আড়াই একর জমি লিজ নেয় সাইফুল ও তার কয়েকজন বন্ধুর কৃষিভিত্তিক সংগঠন ‘নব আলো এগ্রিকালচার’।

সেখানে গড়ে তোলা হয় চার জাতের কুলের বাগান। সাথে পেঁপে ও পেয়ারা। মূলত কুল বাগান লক্ষ্য হলেও মাত্র দুই বছরের মাথায় তাদের কুল বাগান এখন সমন্বিত কৃষি খামারে রূপ নিয়েছে। ৮ লাখ টাকা ব্যয় করে এখন প্রতি বছর আয় করছেন ১০-১২ লাখ টাকা। স্বপ্ন দেখছেন এ কৃষি খামার আরো

নোয়াখালীর লবণাক্ত মাটিতে কুল বাগানের এমন সফলতা দেখতে প্রতিদিনই বাগানে আসেন দর্শনার্থীরা। সুস্বাদু এ কুল কিনেও নেন তারা। এছাড়া পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন কুল। যা অল্প সময়ে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় বাজার। এখানে কর্মসংস্থানও হয়েছে অনেকের।

উদ্যোক্তাদের মতে, প্রথম বছর প্রতি গাছে ১৫-২০ কেজি করে কুল ধরলেও, দ্বিতীয় বছর থেকে প্রতি গাছে কুল পওয়া যাচ্ছে ৩৫-৪০ কেজি পর্যন্ত। চলতি মৌসুমে অন্তত ১৫ টন কুল উৎপাদন হবে তাদের।

কৃষি সম্প্রসারণ বলছে, চলতি বছর জেলায় ১১৩ একর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। পরিত্যক্ত জমিতে আবাদ বাড়াতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে কৃষি বিভাগ।

সরকারি উদ্যোগে পরিকল্পতভাবে জেলার পরিত্যক্ত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে সমন্বিত ফলের বাগান গড়ে তোলা গেলে একদিকে যেমন পুষ্টি চাহিদা মিটবে, তেমনি বেকারত্ব দুর করারও সুযোগ থাকবে।