শুধু পুরুষদের বিরুদ্ধে নয়, গণধর্ষণের মামলা দায়ের হতে পারে নারীদের বিরুদ্ধেও। আর এমন তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, এলাহাবাদ হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন যে একজন নারী ধর্ষণ করতে পারে না ঠিকই, কিন্তু অন্য একদল পুরুষের সঙ্গে মিলে যদি কাজটি করে অর্থাৎ গণধর্ষণে সাহায্য করে, তাহলে তার বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মামলা হতে পারে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ এবং ৩৭৬(ই) ধারার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি শেখরকুমার যাদব বলেন, ‘কোনো নারী গণধর্ষণে সাহায্য করলেও তাকে অভিযুক্ত করা যেতে পারে।’
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী, কোনো নারীর সঙ্গে জোর করে তার অনুমতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা আইনের চোখে জঘন্যতম অপরাধ। ২০১২ সালে দিল্লিতে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের পর সেই আইন আরও কড়া করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে যোগ করা হয় ৩৭৬ (ই) ধারা। এই ধারা অনুযায়ী, ধর্ষণের সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া যেতে পারে। এই দুটি ধারার ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি এই মামলাগুলোতে নারীদের যুক্ত করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।
বিচারপতি শেখরকুমার যাদবের পর্যবেক্ষণ, গণধর্ষণ সংক্রান্ত যে কয়েকটা ধারা আছে, সবগুলোতেই নারীদের যুক্ত করা যেতে পারে। কারণ এই ধারাগুলোতে যেখানে যেখানে ‘গণধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের’ কথা উল্লেখ করা আছে, সেখানে ‘ব্যক্তি’ বলতে সঙ্কীর্ণভাবে শুধু পুরুষদের কথা বলা হয়নি।