হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্কুলজীবন থেকে আমার রাজনীতিতে পথ চলা শুরু। কোনো কিছু পাওয়া কিংবা হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমি কখনও রাজনীতি করিনি।
আমি হাওর অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় জন্ম নেওয়া ও হাওরের কাদা-জলে বেড়ে ওঠা একজন সাধারণ মানুষ।
বুধবারে (৮ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গভবন দরবার হলে আয়োজিত রাষ্ট্রপতির আত্মজীবনীমূলক ‘আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি’ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির প্রদত্ত ভাষণসমূহের সংকলন ‘স্বপ্ন জয়ের ইচ্ছা’ শীর্ষক দুটি বইয়ের প্রকাশ উৎসবে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্কুলজীবন থেকে আমার রাজনীতিতে পথ চলা শুরু। তখনও বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, কিন্তু সেই মহামানবের দরাজ কণ্ঠের উদাত্ত আহ্বান সবসময় আমাকে স্বাধীকার আন্দোলনের চেতনায় উদ্ভাসিত করত।
তিনি বলেন, ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল আমার। তখন থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে পথ চলা শুরু। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শই আমার পথচলার পাথেয় হয়েছে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৮’র সামরিক শাসন জারি, ৬৬’র ছয় দফা, ছাত্রলীগের ১১ দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র সাধারণ নির্বাচন ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধসহ সবকিছুতেই আমার প্রেরণা ও আদর্শ একজনই। তিনি হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
একুশে বইমেলা উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির আত্মজীবনীমূলক বই ‘আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি’ এর মোড়ক উম্মোচন করেন।
‘স্বপ্নজয়ের ইচ্ছা’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড মূলত ২০১৩-২০১৮ সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণের সংকলন। বঙ্গভবনের প্রেস উইং বইটি সংকলন ও সম্পাদনা করেছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদে সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্য প্রদান করেন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য রাখেন। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, শিল্প, সাহিত্য ও মিডিয়াসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।