হাওর বার্তা ডেস্কঃ গামা রশ্মি বা খাদ্য বিকিরণ প্রযুক্তি ব্যবহারে পেঁয়াজের পাশাপাশি আদা, রসুন, টমেটো, আলুসহ বিভিন্ন ফল ও সবজির সংরক্ষণকাল বাড়াতে সফলতা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এতে কমবে কৃষিপণ্যের আমদানি, বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রা।
পেঁয়াজ উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। এরপর ঘাটতি মেটাতে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। তবে ঘাটতির অন্যতম কারণ হিসাবে পেঁয়াজের অপচয় বা নষ্ট হওয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পেঁয়াজের ওজন হ্রাস কমানো ও পঁচনরোধে ২০২০ সাল থেকে গবেষণা করছেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনার উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিজ্ঞানীরা।
তিন বছরের গবেষণায় ফলও মিলেছে আশানুরূপ। গামা রশ্মি বা আলোর বিকরণ প্রযুক্তি ব্যবহারে পেঁয়াজের ওজন হ্রাস ও পঁচন কমার পাশপাশি বেড়েছে সংরক্ষণকাল। এতে নয়মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে পেঁয়াজের আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে।
বিনা’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নাসরীন আখতার বলেন, “পেঁয়াজের ঘাটতি কমানোর জন্য কিভাবে সংরক্ষণকাল বাড়াতে পারি এজন্য গবেষণা করছি। তাতে সফলতাও পেয়েছি।”
বিনা মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, “আমাদের প্রায় ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়। সেই লোকসান কমিয়ে আনতে পারবো, সেই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।”
পেঁয়াজে সফলতার পর অন্য সবজি ও ফলমূল সংরক্ষণেও চলছে গবেষণা।
বিনা’র উদ্যানতত্ত্বের বিভাগীয় প্রধান ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিভিন্ন সবজি, ফল এবং মশলা জাতীয় ফসলের সংরক্ষণকাল বৃদ্ধি করার জন্য গামা রশ্মি প্রয়োগ করে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি।”
কৃষিপণ্যের সংরক্ষণকাল বাড়াতে গাজীপুরে ইরাডিয়েশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে বলেও জানান বিনার বিজ্ঞানীরা।