হাওর বার্তা ডেস্কঃ নাটোরের দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি, যা বর্তমানের উত্তরা গণভবন প্রাচীন স্থাপত্যকলার এক দৃষ্টিনন্দন নিদর্শন। ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র বাসভবন। প্রায় তিনশ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সৌন্দর্যমন্ডিত এই ভবনের আঙ্গিনা নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।
নতুন করে রোপণ করা প্রায় ২৫ হাজার নানা প্রজাতির বাহারী জাতের ফুলে অপরূপ সাজে সেজেছে উত্তরা গণভবনের আঙ্গিনা। নান্দনিক হয়ে উঠেছে গণভবনের পরিবেশ, জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনকে। এই ফুলের রাজ্যে এখন প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ভির বাড়ছে।
নাটোর শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দুরে এই রাজবাড়িতে উত্তরা গণভবনের অবস্থান। দিঘাপতিয়া রাজা দয়ারাম রায়ের চতুর্থ বংশধর রাজা প্রমোদ নাথ রায় খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন। তার সময়ে বিদেশ থেকে কিছু বিরল প্রজাতির ফুল, ফল আর ঔষধি গুণাগুণের গাছ এনে রোপণ করা হয়।
১২০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত রাজবাড়ির আঙ্গিনায় দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০ প্রজাতির ফুল গাছ রয়েছে এই প্রাসাদে। এসব গাছের অনেকগুলোই বিরল প্রজাতির। ২০১২ সালে উত্তরা গণভবন দর্শনার্থীদের জন্য টিকিটের মাধ্যমে উন্মুক্ত করা হয়।
সম্প্রতি দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নতুন করে আরো ২১ প্রজাতির ২৫ হাজার ফুলের চারা রোপণ করা হয়। রাজবাড়ির আঙ্গিনায় শীতের শুরুতেই এসব ফুল ফোটায় অপুর্ব সাজে সজ্জিত হয়েছে। নানা প্রজাতির এসব ফুলে নান্দনিক করে তুলেছে উত্তরা গণভবনের পরিবেশ । এই ফুলের রাজ্যে আসা দর্শনার্থীদের বিমোহিত করছে। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলী ও বাহারি ফুলের সাজে সজ্জিত গণভবনের আঙ্গিনা দেশী-বিদেশের পর্যটকের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
উত্তরা গণভবন দেশের মানুষের একটি গর্বের জায়গা এবং ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র এই বাসভবনে প্রতিদিন কয়েকশ পর্যটক আসেন । তাদের বিনোদনের জন্য ২১ প্রজাতির নতুন করে ২৫ হাজার ফুলের চারা রোপণ করায় উত্তরা গণভবনের নান্দনিক সৌন্দর্য্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে জানান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।