হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সোলেডার শহর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। টানা কয়েকদিন ব্যাপক যুদ্ধের পর আজ শুক্রবার খনিজ লবণ সমৃদ্ধ শহরটিতে বিজয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সিএনএনের।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্রমাগত বোমাবর্ষণ, বিমান হামলা ও রুশ বাহিনীর একটি গ্রুপের আর্টিলারির সাহায্যে সোলেডার দখল সম্ভব হয়েছে।
সোলেডার দখলের ফলে পার্শ্ববর্তী বড় শহর বাখমুটে ইউক্রেনের রসদ সরবরাহ আটকে দেওয়া এবং সেখানকার ইউক্রেনীয় সৈন্যদের অবরুদ্ধ করে ফেলা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ সৈন্যরা কয়েক মাস ধরেই বাখমুট দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার জন্য কৌশলগত দিক থেকে সোলেডার দখলের মূল্য হয়তো খুব বেশি নয়। তবে এটি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য একটি প্রতীকী বিজয় হিসেবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপিত হবে।
তবে রুশ বাহিনীর সোলেডার দখলের দাবি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর ইস্টার্ন গ্রুপের মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আরবিসি-ইউক্রেনকে বলেছেন, শহরটিতে যুদ্ধ এখনো চলছে।
এর আগে, ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র আভাস দিয়েছিলেন, তাদের কমান্ডাররা সোলেডার থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের চিন্তা করছেন। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার সোলেডারের পরিস্থিতিকে কঠিন বলে উল্লেখ করেছিলেন।
বিবিসির খবর অনুসারে, ইউক্রেনীয় মুখপাত্র দাবি করেছিলেন, বাখমুট শহরের নিকটবর্তী সোলেডারে তাদের সৈন্যরা রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের ‘সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া’ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। গত বুধবারই ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন দাবি করেছিলেন, সোলেডার শহরটি তার বাহিনী দখলে নিয়েছে।