ভারতীয় চালের রপ্তানি মূল্য কমাতে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতীয় চালের রপ্তানি মূল্য কমাতে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে ভারতীয় চালের দাম কমে যাওয়াকে কারণ হিসেবে এই অনুরোধে উল্লেখ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) দুটি ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাছ থেকে দুই লাখ টন চাল কেনার চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার আগে এই অনুরোধ জানানো হলো। সংস্থা দুটি হলো ভারতের রাষ্ট্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজ্যুমার ফেডারেশন (এনসিসিএফ) এবং কেন্দ্রীয় খাদ্যভান্ডার।

ভারতের দুটি সংস্থা তাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি বা এজেন্টের মাধ্যমে প্রতি টন চালের দাম দুই ডলার করে কমানোর ব্যাপারে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি যথাক্রমে ৪৩৩ ডলার ৬০ সেন্ট ও ৪৩৬ ডলার ৫০ সেন্ট করে দাম ধরে বাংলাদেশে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।

কিন্তু ডিসেম্বরের শেষের দিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক লাখ টন চাল কেনার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পরে ভারতের বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরে বাংলাদেশকে ৫০ হাজার টন করে চাল সরবরাহের জন্য নির্বাচিত হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি অ্যাগ্রো-ক্রপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও ভারতের বাগাদিয়া। সংস্থা দুটি যথাক্রমে প্রতি টন চাল ৩৯৩ ও ৩৯৭ ডলারে সরবরাহ করতে পারবে বলে জানায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, দরপত্রে আমরা জিটুজির তুলনায় অনেক কম দাম পেয়েছি। তাই আমরা ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুটিকে দাম কমানোর ব্যাপারে অনুরোধ করি। তারা দুই ডলার করে দাম কমানোর ব্যাপারে তাদের সম্মতি জানিয়েছে। তবে আমরা এখনো এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। তাদের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে আমরা ওই দুটি ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে চাল আমদানির চূড়ান্ত চুক্তি করব।

বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তর থেকে গত ২১ ডিসেম্বর ভারতের রাষ্ট্রীয় দুটি সংস্থাকে চাল কেনার সম্মতিপত্র (এলওআই) দেওয়া হয়। তাতে আমদানি করা চালের ৭০ শতাংশ চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে আনা হবে। আর ৩০ হাজার টন ট্রেনে আসবে। চুক্তি হওয়ার ৭০ দিনের মধ্যে ওই চাল বাংলাদেশে সরবরাহ করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর