এক ম্যাচে দুই পাকিস্তানির সেঞ্চুরি, জিতল চট্টগ্রাম

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রথম ম্যাচে দলটা রান করেছিল মোটে ৮৯। সেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সামনেই দ্বিতীয় ম্যাচে লক্ষ্য ১৭৯ রানের। তরুণ খেলোয়াড় দিয়ে সাজানো দলটার সামনে নিঃসন্দেহে বড় চাপের বিষয়। কিন্তু চাপকে ভয় হয়ে উঠতে দিলেন না উসমান খান। একাই লড়লেন শেষ পর্যন্ত। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে ৪ বল হাতে রেখেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার দিনের দ্বিতীয় খেলায় খুলনা টাইগার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১০ চার ও পাঁচ ছয়ে ৫৮ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন উসমান খান।

এর আগে উসমানের স্বদেশি মইন খানের ছেলে আজম খানের সেঞ্চুরিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে খুলনা।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা প্রথম ৪ ওভারে তুলতে পারে মোটে ১২ রান। তবে এরপর আজম খান এসে চিত্রপট বদলে দেন। একাই করেন দলের সিংহভাগ রান। ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়ে তুলে নেন সেঞ্চুরি। তার শতকে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৮।

ছয় মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারে পৌঁছান আজম খান। ৫৮ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছয় মেরেছেন ৮টি। চারের মারও কম ছিল না, ৯ বার বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন চট্টগ্রামের বোলারদের।

বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল অবশ্য ভালো সঙ্গ দিয়েছেন আজমকে। দুজনে মিলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। ৩৭ বলে ৪০ রান করে ভিভাসকান্তের বলে আউট হন তামিম।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সাবধানী ক্রিকেট খেলেছেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার উসমান খান ও ম্যাক্স ও’দাউদ। দুজনে মিলে গড়েন ১৪১ রানের জুটি। ৫০ বলে ৫৮ রান করে ম্যাক্স নাহিদুলের বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন। তবে জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল মাত্র ৩৮ রান, হাতে ৯ উইকেট।

আফিফ হোসেনকে নিয়ে নির্বিঘ্নে কাজটা সেরে ফেলেন উসমান। সেই সঙ্গে দলকে এনে দেন এবারের বিপিএলের প্রথম জয়ও।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর