হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আমাদের জনবলের অভাব রয়েছে। কোন রোগের জন্য কতজন স্পেশালিস্ট প্রয়োজন, সেটি আমরা নির্ণয় করছি। আমরা আপনাদের জনবল সমস্যা খুব দ্রুতই সমাধান করবো।
আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ইউরোলোজিক্যাল সার্জন্স আয়োজিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের হেলথ সার্ভিসে অনেক সমস্যা রয়েছে। অনেক সমস্যা আছে যা খোলামেলাভাবে বলার সুযোগ নেই।তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে স্বাস্থ্য খাতকে ডিজিটালাইজড করছি। কোভিডে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষও চিকিৎসা সেবা নিয়েছে।
আমরা জনবলের নতুন অরগানোগ্রাম করছি। আমাদের হেলথ মিনিস্ট্রিতে জনবল আছে তিন লাখ। নতুন অরগানোগ্রাম বাস্তবায়ন হলে ৬ লাখ জনবল লাগবে। যদিও সরকার রাতারাতি এগুলো দিতে পারবে না।
মন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, গত বছর নতুন ৫টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নতুন করে কোভিডকালে ১২ হাজার ডাক্তার, ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ হয়েছে। ডিজিটাল হেলথ রেকর্ডিং প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। আমরা ৩৪ কোটি টিকা দিয়েছি, বাংলাদেশের স্থান বিশ্বে ৫ম। সাউ-থইস্ট এশিয়ায় প্রথম। এজন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের অনুমোদন দিয়েছি। কিন্তু ট্রান্সপ্ল্যান্ট খুকই কম। নতুন নতুন হাসপাতালগুলোতে ইউরোলজি থাকার কথা। সরকারি সব হাসপাতালে ইউরোলজি ডিপার্টমেন্ট যেন হয়, সেটি আমরা করবো। অনুষ্ঠানে প্রমোশন, পোস্টিংয়ের কথা এসেছে। যেহেতু এখানে আলোচনা হয়েছে, আমরা বিষয়টি দেখবো।