ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নববর্ষ বরণে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নতুন রূপে সেজেছে কুয়াকাটা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৭৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বছরের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করতে প্রতি বছরই হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে। এ বছর তিন দিন আগে থেকেই হোটেল-মোটেলগুলোর শতভাগ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের প্রথম দিন সমুদ্র সৈকতে প্রকৃতির সঙ্গে উদযাপন করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে কুয়াকাটায় আসছেন। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নতুন রূপে সেজেছে কুয়াকাটার হোটেলগুলো।

সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, ইতোমধ্যে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলো শতভাগ বুকিং হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে কিছু রুম ফাঁকা রয়েছে। হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পটসহ বিভিন্ন স্থানকে রঙিন লাইট, বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। এছাড়াও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বেশিরভাগ হোটেল ধোয়া-মোছা করে নতুন সাজে সেজেছে।

হোটেল-মোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, পর্যটকদের বিনোদনের যে জায়গাগুলো রয়েছে কুয়াকাটাতে, সেই জায়গাগুলো আলোকসজ্জা করা হয়েছে ইতোমধ্যে অগ্রিম বুকিং শুরু হয়েছে। আশা করছি পর্যটকদের নতুন বছরের আগমনে সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারব। ইতোমধ্যে শতভাগ বুকিং সম্পূর্ণ হয়েছে। নিজ নিজ হোটেলের উদ্যোগে লাইটিং ও সাজসজ্জা করা হচ্ছে।

হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সাপ্তাহিক ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে। আগামী থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য আমাদের সব রুম বুকড রয়েছে। পুরো হোটেলজুড়ে লাইটিং করা হয়েছে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য।

আন্দারমানিক ট্যুরিজম কুয়াকাটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম বাচ্চু বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে কুয়াকাটাতে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে। আমাদের যে ট্যুরিস্ট বোর্ড রয়েছে সেই বোর্ডগুলো আমরা প্রস্তুত রেখেছি। এছাড়াও পুরো কুয়াকাটায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটকদের আকর্ষণ করতে হোটেল হোটেলে সাজসজ্জা, নতুনত্ব, বিশেষ ছাড়সহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ করে হোটেলের ইনডোরে ছোট ছোট প্রোগ্রাম করে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, কিছু দিন আগে টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকে ভরপুর ছিল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমরা তৎপর রয়েছি। কুয়াকাটাকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নববর্ষ বরণে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নতুন রূপে সেজেছে কুয়াকাটা

আপডেট টাইম : ০১:১০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বছরের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করতে প্রতি বছরই হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে। এ বছর তিন দিন আগে থেকেই হোটেল-মোটেলগুলোর শতভাগ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের প্রথম দিন সমুদ্র সৈকতে প্রকৃতির সঙ্গে উদযাপন করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে কুয়াকাটায় আসছেন। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নতুন রূপে সেজেছে কুয়াকাটার হোটেলগুলো।

সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, ইতোমধ্যে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলো শতভাগ বুকিং হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে কিছু রুম ফাঁকা রয়েছে। হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পটসহ বিভিন্ন স্থানকে রঙিন লাইট, বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। এছাড়াও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বেশিরভাগ হোটেল ধোয়া-মোছা করে নতুন সাজে সেজেছে।

হোটেল-মোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, পর্যটকদের বিনোদনের যে জায়গাগুলো রয়েছে কুয়াকাটাতে, সেই জায়গাগুলো আলোকসজ্জা করা হয়েছে ইতোমধ্যে অগ্রিম বুকিং শুরু হয়েছে। আশা করছি পর্যটকদের নতুন বছরের আগমনে সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারব। ইতোমধ্যে শতভাগ বুকিং সম্পূর্ণ হয়েছে। নিজ নিজ হোটেলের উদ্যোগে লাইটিং ও সাজসজ্জা করা হচ্ছে।

হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সাপ্তাহিক ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে। আগামী থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য আমাদের সব রুম বুকড রয়েছে। পুরো হোটেলজুড়ে লাইটিং করা হয়েছে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য।

আন্দারমানিক ট্যুরিজম কুয়াকাটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম বাচ্চু বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে কুয়াকাটাতে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে। আমাদের যে ট্যুরিস্ট বোর্ড রয়েছে সেই বোর্ডগুলো আমরা প্রস্তুত রেখেছি। এছাড়াও পুরো কুয়াকাটায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটকদের আকর্ষণ করতে হোটেল হোটেলে সাজসজ্জা, নতুনত্ব, বিশেষ ছাড়সহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ করে হোটেলের ইনডোরে ছোট ছোট প্রোগ্রাম করে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, কিছু দিন আগে টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকে ভরপুর ছিল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমরা তৎপর রয়েছি। কুয়াকাটাকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে।