হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী জানুয়ারি থেকে পদ্মা সেতুতে চলাচল করতে পারবে না ২৭ টনের বেশি ওজনের কোনো যানবাহন। সেতুর জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে কাজ শেষ হয়েছে ইলেকট্রিক সেন্সর নিয়ন্ত্রিত গাড়ির ওজন পরিমাপ ওয়েস্কেল বসানোর কাজ। ফলে গাড়ি সেতুতে উঠতেই ওজন পরিমাপ করা হবে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ৬৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্কেল বসানোর কাজ করেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর থেকেই ২৭ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল নিষেধ। কিন্তু উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতুতে ওজন পরিমাপের ব্যবস্থা না থাকায় পণ্যবাহী যানবাহন পরিমাপ ছাড়াই পারাপার হচ্ছে। পদ্মা সেতুর উভয়প্রান্তে পণ্যবাহী যানবাহনকে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে এসে টোল প্লাজার আগে তিনটি আলাদা লেনে আসতে হবে ওয়েস্কেলে।
সেখানে নির্ধারিত ইলেকট্রিক সেন্সর ও সড়কে থাকা পণ্যবাহী গাড়ির ওজন পরিমাপের বিশেষ ডিভাইসের ওপর দিয়ে পার হতে হবে ওয়েস্কেলের বিশেষ লেন। যদি পণ্যবাহী গাড়ি ২৭ টনের বেশি হয় তাহলে রেড জোন দিয়ে চলে যাবে টোল প্লাজার পাশে নির্মিত স্টকইয়ার্ডে। রেড জোনে গাড়ি ৭২ ঘণ্টা থাকতে পারবে। সেখানে তারা ওজন কমিয়ে আবার ওয়েস্কেলে ওজন পরিমাপ দিয়ে গ্রিন জোন দিয়ে পদ্মা সেতু পাড় হতে হবে। আর ২৭ টন হয় তাহলে সেটি গ্রিন জোন দিয়ে টোল প্রদান করে পদ্মা সেতু পাড় হবে।
দেখা যায়, রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ। এখন চলছে মার্কিংয়ের কাজ। বিদেশি প্রকৌশলীরা ওয়েস্কেলের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। বালু ভর্তি একটি ট্রাক বারবার ওয়েস্কেলে উঠানো হচ্ছে। এতে করে প্রকৃত ওজন প্রদর্শিত হচ্ছে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে। গাড়ির গতি বা ওজন বেশি হলে বেজে উঠছে সাইরেন। এতে করেই ওয়েস্কেলের ক্ষমতা দেখা হচ্ছে। এছাড়া গাড়ির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে বসানো হয়েছে ক্যামেরা, সিগন্যাল বাতি, ডিজিটাল ডিসপ্লে ও ডিভাইডার সাইন।
জাজিরা প্রান্তে দায়িত্বে থাকা স্টকইয়ার্ড সুপারভাইজার আব্দুল করিম বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে পণ্যবাহী যানবাহন ওয়েস্কেলের কাজ করছি। দাঁড়াতে হবে না কোনো গাড়িকে। চলতি পথেই মাপা হবে ওজন।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, ওয়েস্কেলের নির্মাণের কাজ শেষ। জানুয়ারির শুরু থেকেই এটির কাজ শুরু করার কথা চলছে। এটির কাজ শুরু হলে বেশি ওজনের গাড়ি পাড়াপাড়ের সুযোগ থাকবে না। ওয়েস্কেলের জন্য সংযোগ সড়কের কাজও এখন শেষের দিকে।