হাওর বার্তা ডেস্কঃ একটি সুস্বাস্থ্যবান ও পরিকল্পিত জনগোষ্ঠি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কাজগুলো এখনো চ্যালেঞ্জিং। একসময় জন্ম বিরতিকরণ বড়ি খাওয়ানো নিয়ে কথা বলা ছিল রীতিমতো অপরাধ। কিন্ত এখন বাল্য বিয়ে কথা বলা যায় না। বাল্য বিয়ে ঠেকানোর কাজটি এখনো কঠিন।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের আগ্রাবাদে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অ্যাডভোকেসি সভায় কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের আরো কাছাকাছি যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেন। কর্মকর্তারা বলেন, দেশে এখনো ৫৯ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে। এই প্রবণতা বন্ধ করতে না পারলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য জনশক্তি তৈরির যে পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে তাতে দেশ পিছিয়ে যেতে পারে। পুষ্টি ও টিকা দেওয়ার মতো মৌলিক কাজের পাশাপাশি পরিবার কল্যাণ কর্মীদের সামাজিক সচেতনতামূলক কাজগুলো প্রচারের আড়ালে থেকে যাওয়ায় তাদের কাজ করা আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে।
পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তব্য দেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. মুহম্মদ নওশাদ খান, চট্টগ্রাম পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক (পোর্ট ক্লিয়ারিং) মো. খোরশেদ আলম ও পাঁচলাইশ থানা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা হাসনাত। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ের কাজের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন এনজিও কর্মকর্তা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সভার কার্যক্রম পরিচালনা করেন সিসি ও এফপিসিএসকিউআইটি’র চট্টগ্রাম রিজিওনাল কনসালটেন্ট ডা. ছেহেলী নার্গিস।-বাংলা নিউজ।