ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রযুক্তির সহায়তায় যেভাবে ভ্রমণ করা যাবে মেট্রোরেলে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • ১৫৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ইলেক্ট্রিক ট্রেন মেট্রোরেল। পরিচালনায় যেমন স্বয়ংক্রিয়, তেমনি টিকিট কাটা থেকে ভ্রমণ, সব কিছুতেই নিতে হবে প্রযুক্তির সহায়তা। তবে প্রযুক্তি এতোটাই সহজ যে, এ নিয়ে কোনো ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হবে না। মেট্রো স্টেশনের দ্বিতীয় তলাকে বলা হচ্ছে কনকর্স লেবেল। এখানে আসার পর যাত্রীরা তাদের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এই ফ্লোরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকিট বিক্রয় মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। যাত্রীরা যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে একক ভ্রমণের টিকেট সংগ্রহ করবেন, তখন মেশিনে টাকা প্রবেশ করিয়ে মনিটরে তার গন্তব্য ও টিকেটের সংখ্যা নির্ধারণ করলে কল বাটন চাপলে টিকেট সংগ্রহের স্থান থেকে টিকেট নিতে পারবেন। আবার যদি তিনি তার এমআরটি কার্ড রিচার্জ করতে চান সেক্ষেত্রে একইভাবে টাকা প্রবেশ করিয়ে মনিটরে টাকার পরিমাণ দিয়ে কল বাটন চাপলে স্বংক্রিয়ভাবে রিচার্জ হয়ে যাবে। ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “এমআরটি পাস তো রেডি, যখনই তারিখ ঘোষণা হবে তখনই আমরা এমআরটি পাস দিব।”মেট্রোরেল স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় টিকেট কাটার আগ পর্যন্ত আপনি নন পেইড জোনে অবস্থান করবেন। যখন আপনি টিকেট কাটলেন তখন পাঞ্চ মেশিনে আপনাকে পাঞ্চ করতে হবে। পাঞ্চ করলে দরজাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। তখন আপনি পেইড জোনে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। এরপর সিঁড়ি বা এস্কেলেটর কিংবা লিফট দিয়ে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে মেট্রোতে পরিভ্রমণ করবেন।

ভ্রমণ শেষে আপনি যখন বের হবেন তখন পাঞ্চ মেশিনে আবার পাঞ্চ করতে হবে। আর যদি আপনি অতিরিক্ত স্টেশন পরিভ্রমণ করেন বা আপনাকে যদি কার্ড না থাকে তাহলে বের হওয়ার দরজাটি খুলবে না। তখন প্রয়োজনীয় সংখ্যক অর্থ পরিশোধ করে আপনি বাইরে বের হতে পারবেন। এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “সেখানে স্টিকার লাগানো আছে যে, আপনি কোনটা করতে পারবেন আর কোনটা করতে পারবেন না। বর্জনীয় কাজগুলো করলে আরটি পুলিশ ফোর্স সেটা দেখবেন। এর সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্টেটও থাকবেন। তারা শাস্তির আওতায় আনবেন।”মেট্রোরেল এসে থামার সাথে সাথে দরজাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। তারপর ভেতরে থাকা যাত্রীরা বাইরে আসার সুযোগ পাবেন। তারা আসার পরেই বাইরে থাকা যাত্রীরা ভেতরে ঢোকার সুযোগ পাবেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “ট্রেনের সঙ্গে যে ডোরটা থাকার কথা সেই দরজাটা খুললো না তখন যাত্রীকে কি কাজটা করতে হবে সে সম্পর্কে ঘোষণা আসবে যে, আপনারা গেট থেকে সরে দাঁড়ান। সমস্ত ট্রেনে এই শব্দটা শোনা যাবে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রযুক্তির সহায়তায় যেভাবে ভ্রমণ করা যাবে মেট্রোরেলে

আপডেট টাইম : ০১:০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ইলেক্ট্রিক ট্রেন মেট্রোরেল। পরিচালনায় যেমন স্বয়ংক্রিয়, তেমনি টিকিট কাটা থেকে ভ্রমণ, সব কিছুতেই নিতে হবে প্রযুক্তির সহায়তা। তবে প্রযুক্তি এতোটাই সহজ যে, এ নিয়ে কোনো ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হবে না। মেট্রো স্টেশনের দ্বিতীয় তলাকে বলা হচ্ছে কনকর্স লেবেল। এখানে আসার পর যাত্রীরা তাদের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এই ফ্লোরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকিট বিক্রয় মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। যাত্রীরা যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে একক ভ্রমণের টিকেট সংগ্রহ করবেন, তখন মেশিনে টাকা প্রবেশ করিয়ে মনিটরে তার গন্তব্য ও টিকেটের সংখ্যা নির্ধারণ করলে কল বাটন চাপলে টিকেট সংগ্রহের স্থান থেকে টিকেট নিতে পারবেন। আবার যদি তিনি তার এমআরটি কার্ড রিচার্জ করতে চান সেক্ষেত্রে একইভাবে টাকা প্রবেশ করিয়ে মনিটরে টাকার পরিমাণ দিয়ে কল বাটন চাপলে স্বংক্রিয়ভাবে রিচার্জ হয়ে যাবে। ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “এমআরটি পাস তো রেডি, যখনই তারিখ ঘোষণা হবে তখনই আমরা এমআরটি পাস দিব।”মেট্রোরেল স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় টিকেট কাটার আগ পর্যন্ত আপনি নন পেইড জোনে অবস্থান করবেন। যখন আপনি টিকেট কাটলেন তখন পাঞ্চ মেশিনে আপনাকে পাঞ্চ করতে হবে। পাঞ্চ করলে দরজাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। তখন আপনি পেইড জোনে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। এরপর সিঁড়ি বা এস্কেলেটর কিংবা লিফট দিয়ে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে মেট্রোতে পরিভ্রমণ করবেন।

ভ্রমণ শেষে আপনি যখন বের হবেন তখন পাঞ্চ মেশিনে আবার পাঞ্চ করতে হবে। আর যদি আপনি অতিরিক্ত স্টেশন পরিভ্রমণ করেন বা আপনাকে যদি কার্ড না থাকে তাহলে বের হওয়ার দরজাটি খুলবে না। তখন প্রয়োজনীয় সংখ্যক অর্থ পরিশোধ করে আপনি বাইরে বের হতে পারবেন। এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “সেখানে স্টিকার লাগানো আছে যে, আপনি কোনটা করতে পারবেন আর কোনটা করতে পারবেন না। বর্জনীয় কাজগুলো করলে আরটি পুলিশ ফোর্স সেটা দেখবেন। এর সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্টেটও থাকবেন। তারা শাস্তির আওতায় আনবেন।”মেট্রোরেল এসে থামার সাথে সাথে দরজাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। তারপর ভেতরে থাকা যাত্রীরা বাইরে আসার সুযোগ পাবেন। তারা আসার পরেই বাইরে থাকা যাত্রীরা ভেতরে ঢোকার সুযোগ পাবেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “ট্রেনের সঙ্গে যে ডোরটা থাকার কথা সেই দরজাটা খুললো না তখন যাত্রীকে কি কাজটা করতে হবে সে সম্পর্কে ঘোষণা আসবে যে, আপনারা গেট থেকে সরে দাঁড়ান। সমস্ত ট্রেনে এই শব্দটা শোনা যাবে।”