খেলা হবে, লাঠিসোটা নিয়ে যাতে না করা হয়: পরিকল্পনামন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, চারদিকে শুনছি প্রদর্শনী হবে, খেলা হবে- অনেক কিছুই হবে। খেলা হবে এটা ভালো, সুস্থ সমাজের পরিচয়। তবে খেলাধুলা লাঠিসোটা নিয়ে যাতে না হয়। খেলা হোক তবে কোনো সড়ক, নদীপথ, রেলপথ যেন বন্ধ না হয়।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বাপা ফুডপ্রো এক্সপোর অষ্টম আসর উদ্বোধনের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এ আসর চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর সভাপতি এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাপার সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাপার সাবেক সভাপতি এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, এবারের আয়োজক কমিটির সদস্য মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে রাজনৈতিক খেলা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ভয়ংকর খেলা যদি হয় তাহলে ক্ষতি কার হবে? ওইসব লোকের ক্ষতি হবে, যারা ক্ষেতে-খামারে কাজ করে, রিকশা চালায়, রেলগাড়ি চালায়, কুলি বাজারে বাজার মাথায় নিয়ে রোজগার করে তাদের ক্ষতি হবে। আমার খাবার আমি ঠিকই পাবো। তবে তারা কেউ কেউ না খেয়ে থাকবে। তারা সন্তানের জন্য খাবার কিনতে পারবে না। আমরা যারা লাঠিসোটা নিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছি, এটা করে ফেলবো, ওটা করে ফেলবো, অমুক তারিখের পরে সব শেষ করে দেবো- এটা কিন্তু ভালো কাজ নয়।

শান্তির বার্তা দিয়ে এম এ মান্নান বলেন, আমার মনে হয় লাঠিসোটার বিকল্প দুনিয়াতে আছে। অন্য রাষ্ট্র যদি লাঠিসোটা ছাড়া রাজনীতি করতে পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না? দুনিয়ার সব মানুষ যদি কথা বলে সমাধান করতে পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না। আমার বিনীত নিবেদন আপনারা যারা এখানে আছেন বলবো বাবা যাই করো আমার রিজিকে হাত দিও না। তুমি তো আমাকে এক কেজি চাল দেবে না। তাহলে আমার রিজিকে বাধা দেবে কেন? শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করেই মালয়েশিয়া-কোরিয়া হতে পারবো। চিল্লাচিল্লি করে, মারপিট করে কোরিয়া-মালয়েশিয়া হওয়া যাবে না।

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জিনিসের দাম বাড়ছে এটা কমে আসবে। গ্রাম থেকে গতকাল এসেছি। গ্রামের সাধারণ মানুষ এতটা শঙ্কিত নয়। সাধারণ মানুষের টানাটানি আছে, তবে তারা মরে যাচ্ছে এটা বলে নাই। একজন গবেষক গবেষণা করেছেন আমাদের মাছ-মাংস নাকি গরিবের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। শুধু আমার দেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবেও অনেকের হাতের নাগালে (মাছ-মাংস) থাকে না।

এম এ মান্নান আরও বলেন, কথার মারপ্যাঁচে দেশের সমস্যা বড় করে দেখানো ঠিক নয়। আমি গ্রামের ছেলে, বিষয়গুলো আমি বুঝি। অনেকে হয়তো দামি মাছ খেতে পারে না কিন্তু পাঙ্গাস মাছ খায়। সবাই হয়তো দেশি মুরগি খেতে পারে না, কিন্তু ব্রয়লার ঠিকই খায়। গরিবের হাতের বাইরে মাছ-মাংস চলে গেছে কথাটা সঠিক নয়। এই বাছাই প্রক্রিয়া আবহমান কাল থেকে থাকবে। আমি বাজারে গেলে প্রচুর মাছ, মাংস ও সবজি দেখি। নতুন নতুন সবজি দেখি বাজারে। এই যে ড্রাগন ফল খাচ্ছি আমাদের বাপ দাদারা এক সময় চিন্তাও করেনি। কিন্তু এখন ঠিকই এই ফল খাচ্ছি।

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর