হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে বিশাল এলাকাজুড়ে নতুন ও পুরাতন সড়কের ডিভাইডারে চাষ হচ্ছে শীতকালীন আগাম শাক সবজি। মহাড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নানকরা, চিওড়া, জগন্নাথ দীঘি, গাংরা, সুজাতপুর, পদুয়াসহ প্রায় ৮ কিলোমিটারে শাক সবজির চাষ করা হয়েছে।
মহাসড়কের পাশে বসবাস করা কৃষকরা ডিভাইডার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে মুলা, পালং শাক, লাল শাক, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, শিম ও ধনিয়া পাতাসহ বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ করছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় মহাসড়কের বুকে এ যেন লাল-সবুজের সমাহার। রঙ-বেরঙের এ সব শাক সবজির গাছ মহাসড়কের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
মহাসড়কের সুজাতপুর এলাকার সবজি চাষি শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘ডিভাইডারের মাটি উর্বর। তাই সড়কের পাশের ডিভাইডারে এক শতক জায়গায় উপরে মূলা, পালং শাক, লাল শাক, মিষ্টি কুমড়া ও ধনিয়া পাতার চাষ করেছি। এরই মধ্যে কিছু মূলার শাক বিক্রি করেছি। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিগুলো বাজারে বিক্রি করে সংসারের কিছু চাহিদা পূরণ করছি।’
আরেক কৃষক রুহুল আমিন বলেন, ‘ডিভাইডারের উপর ঘাস পরিষ্কার করে শীতকালীন সবজির চাষ করেছি। এতে আমি লাভবান হয়েছি। রোদ-বৃষ্টি যাই হোক ফসলের তেমন ক্ষতি হয় না। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পেলে সবজির ফলন আরও ভালো হবে।’
মহাসড়কের মাঝখানে লাল-সবুজের এ দৃশ্য দেখতে অনেক চালক গাড়ি থামায়। অনেকে আবার এখান থেকে সবজি কিনে নিয়ে যায়। স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশার চালক রিয়াদ মিয়া বলেন, ‘সড়কে শাক সবজি দেখতে ভালো লাগে। কোনো ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই উৎপাদিত সবজি শরীরের জন্য ভালো। এখান থেকে শাক সবজি কিনে নিয়ে যাই; দামও কম রাখে।’
এ বিষয় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত রায় বলেন, ‘মহাসড়কের ডিভাইডারে সবজি চাষ ভালো খবর। আমি মাঠকর্মীদের বলেছি এই কৃষকের তালিকা তৈরি করতে। আমি তাদের সবজির বীজ দেবো এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।’