হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। তবে কর্মসূচির নামে রাস্তায় গাড়ি পোড়ানো, ভাঙচুর, গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা সর্বোপরি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে মিন্টু রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি যেকোনো দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। এ অধিকার সমাবেশ কিংবা যেকোনো কর্মসূচির মাধ্যমে হতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে এ অধিকারের নামে রাজপথে নেমে জনগণের জানমালের ক্ষতিসহ বিশৃঙ্খলা তৈরি করে হচ্ছে। এতে করে জন মনে ভিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশ এ ধরনের কর্মসূচির নামে যারা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, থানাকে গণমুখী করা হবে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি পুলিশের সেবা ও সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং করা হবে। নগরবাসীর নিরাপত্তা ও আস্থা অর্জনে করতে হবে। তবে এজন্য দরকার সবার সহযোগিতা। নগরবাসী, গণমাধ্যমকর্মী সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয়ে কাজ করলে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর অপরাধমুক্ত নগর উপহার দেওয়া সম্ভব।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন তিনি বলেন, ঢাকা শহর এমনিতেই জনবহুল। তারপরও চলছে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড। এ কারণেই কিছু কিছু এলাকায় যানজট দেখা দেয়। তবে যানজট থেকে নগরবাসীকে যেন মুক্ত করা যায় সেজন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে রাস্তায় যেন দূরপাল্লা বা ছোট ছোট কোনো যানবাহন দাঁড়াতে না পারে সেজন্য পার্কিং ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা হবে। সেজন্য আমার পরিকল্পনাও রয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা অফিসে সুপারিশ আকারে পাঠানো হয়েছে।
অপর প্রশ্ন তিনি বলেন, থানায় যেন ভুক্তভোগী সঠিক সেবা পান সেজন্য ডিউটি অফিসার, সেন্টি পর্যায়ে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) বসানো হয়েছে। এসব কামেরা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। থানায় গিয়ে জিডি কিংবা কোন অভিযোগ করতে গেলে কাউকে কোন টাকা পয়সা দিতে হয় না, বা কেউ দেবেন না। আর কারো বিরুদ্ধে যদি এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় তাহলে তদন্ত-পূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাদকের প্রসঙ্গ টেনে কমিশনার বলেন, রাজধানীকে মাদকমুক্ত করতে যা যা করণীয় সবকিছুই করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করা করছে পুলিশ। আশা করছি সেক্ষেত্রে এর ব্যবহার অনেক অংশে কমে আসবে। পাশাপাশি যারা মাদকসেবী তাদের নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা থেকে স্বাভাবিক জীবনে কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সেজন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।