হাওর বার্তা ডেস্কঃ চাঁদপুর নৌ-বন্দর থেকে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের সকল স্থানে সব ধরণের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে চাঁদপুরে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা প্রচন্ড বেড়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ দেশের সকল স্থানের সব ধরণের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১২টা থেকে ঢাকা-চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানের মধ্যে লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন।
তিনি বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবের কারণে আজ ভোর থেকে চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জের মধ্যে ছোট লঞ্চগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে বেলায় ১১টায় বন্ধ করা হয় ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যে চলাচলকারী লঞ্চগুলো। দুপুর থেকে দেশের সকল স্থানের সাথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এর আগে সকাল ৬টা থেকে প্রতিদিনের মত সিডিউলে থাকা লঞ্চগুলো তাদের গন্তব্যের উর্দেশে চাঁদপুর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা শাহ্ মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, চাঁদপুর জেলার ও জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ৭ নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর নদী বন্দর সমূহকে ৩নম্বর সতর্ক নৌ-সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আজ সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদে আনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আশ্রয়ন কেন্দ্রসহ ৩২৫টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি খাদ্য হিসেবে ২৫ মেট্টিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ এবং আজকে বিকেলের মধ্যেই শুকনো খাবার এসে পৌঁছাবে। পরিস্থিতি খারাপ দেখার সাথে সাথে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হবে।