ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদমাধ্যমে ৯ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন সঙ্কট সমাধানে ডিইউজের এক মাসের আল্টিমেটাম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • ১৩৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সংবাদমাধ্যমে ৯ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন, সাংবাদিকদের উপর হামলা-মামলা বন্ধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন, পেশাদার সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল, সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিনসহ চলমান সমস্যা-সঙ্কট সমাধানে আগামী এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। অন্যথায় আগামী ২২ নভেম্বর ২০২২ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকি অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর ২০২২) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এ আল্টিমেটাম দেন ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী। তিনি বলেন, অবিলম্বে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবাদ মাধ্যমে চলমান সমস্যা-সঙ্কট নিরসনে আগামী এক মাসের সময় দিতে চাই। এই সময়ে মধ্যে যদি সমস্যা-সঙ্কট নিরসনে কোনো কার্যকর ও দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা না যায় ডিইউজে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফরুক বলেন, আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চেয়েছি। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। শুধু আশ্বাস দেয়া হয়েছে। আমরা বলতে চাই রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য করবেন না। রাজপথের কঠোর কর্মসূচি থেকে যদি অন্য কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয় দায় আপনাদের নিতে হবে।

বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি অধিকার ও মর্যাদার দাবি নিয়ে। রুটি-রুজির অধিকার দিয়েছে দেশের আইন। মর্যাদা পাওয়ার অধিকার দিয়েছে দেশের আইন। অথচ এই আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। গণমাধ্যম বান্ধব সরকার ও সরকার প্রধান। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য প্রেস কাউন্সিল রয়েছে। অথচ দেশের বিভিন্ন আদালতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। এই অবস্থার নিরসন দরকার।

বিএফইউজের মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, সাংবাদিকদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে একটি চক্র কাজ করছে। পরিস্থিতি ঘোলা করে কোনো পক্ষ যেন ফায়দা নিতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে আমরা আহ্বান জানাই।

ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য দুলাল খান, আসাদুর রহমান, মহিউদ্দিন পলাশ, সফিকুল করিম, শফিক বাশার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, ডিইউজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান মিয়া, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আছাদুজ্জামান প্রমুখ।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিলা পারভীন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইব্রাহিম খলিল খোকন, আনোয়ার হোসেন, রেহানা পারভীন, ঢাকা সাব এডিটর কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল কদম ফোয়ারা প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সংবাদমাধ্যমে ৯ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন সঙ্কট সমাধানে ডিইউজের এক মাসের আল্টিমেটাম

আপডেট টাইম : ০৮:৫৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সংবাদমাধ্যমে ৯ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন, সাংবাদিকদের উপর হামলা-মামলা বন্ধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন, পেশাদার সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল, সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিনসহ চলমান সমস্যা-সঙ্কট সমাধানে আগামী এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। অন্যথায় আগামী ২২ নভেম্বর ২০২২ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকি অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর ২০২২) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এ আল্টিমেটাম দেন ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী। তিনি বলেন, অবিলম্বে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবাদ মাধ্যমে চলমান সমস্যা-সঙ্কট নিরসনে আগামী এক মাসের সময় দিতে চাই। এই সময়ে মধ্যে যদি সমস্যা-সঙ্কট নিরসনে কোনো কার্যকর ও দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা না যায় ডিইউজে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফরুক বলেন, আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চেয়েছি। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। শুধু আশ্বাস দেয়া হয়েছে। আমরা বলতে চাই রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য করবেন না। রাজপথের কঠোর কর্মসূচি থেকে যদি অন্য কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয় দায় আপনাদের নিতে হবে।

বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি অধিকার ও মর্যাদার দাবি নিয়ে। রুটি-রুজির অধিকার দিয়েছে দেশের আইন। মর্যাদা পাওয়ার অধিকার দিয়েছে দেশের আইন। অথচ এই আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। গণমাধ্যম বান্ধব সরকার ও সরকার প্রধান। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য প্রেস কাউন্সিল রয়েছে। অথচ দেশের বিভিন্ন আদালতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। এই অবস্থার নিরসন দরকার।

বিএফইউজের মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, সাংবাদিকদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে একটি চক্র কাজ করছে। পরিস্থিতি ঘোলা করে কোনো পক্ষ যেন ফায়দা নিতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে আমরা আহ্বান জানাই।

ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য দুলাল খান, আসাদুর রহমান, মহিউদ্দিন পলাশ, সফিকুল করিম, শফিক বাশার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, ডিইউজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান মিয়া, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আছাদুজ্জামান প্রমুখ।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিলা পারভীন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইব্রাহিম খলিল খোকন, আনোয়ার হোসেন, রেহানা পারভীন, ঢাকা সাব এডিটর কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল কদম ফোয়ারা প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।