হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি করিমগঞ্জ উপজেলার খয়রত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে পদক প্রদানের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান ক্যাটাগরিতে তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে উপজেলা বাছাই কমিটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিজুল হক।
শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন ১৯৯৯ সালের ৩ জুন সহকারী শিক্ষক হিসেবে উপজেলার উজান বরাটিয়া স. প্রা. বিদ্যালয়ে ১ম যোগদান করেন। পরে বদলি হয়ে উলুখলা স. প্রা. বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২০০৬ সালের ২০ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুতারপাড়া স. প্রা. বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ৩০ মার্চ খয়রত স. প্রা. বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে এসে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন।
কৃষক পরিবারের সন্তান মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন ১৯৭৭ সালের ৯ জুলাই উপজেলার নোয়াবার ইউনিয়নের হালগড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম মো. আব্দুল কাদির, মাতা- মোছা. হালিমা আক্তার।
করিমগঞ্জের বালিয়া স.প্রা. বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন তিনি। পরে ময়মনসিংহ আনন্দনমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস ডিগ্রি লাভ করেন।
আনোয়ার হোসেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রশাসনিক প্রশিক্ষণসহ শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
খয়রত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর তিনি বিদ্যালয়ের বেহাত জায়গা উদ্ধারসহ বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেন।
এছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে তিনি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে খাতা কলম ও স্কুল ড্রেস বিতরণ অব্যাহত রাখেন।
তিনি যোগ দেওয়ার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে সব সময় চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। আমাকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার এ অর্জন আমার সকল ছাত্র-ছাত্রী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য উৎসর্গ করলাম।’