ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুইমিংপুলের পানিতে ক্যানসারের ঝুঁকি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০১৬
  • ৩১৪ বার

সুইমিংপুলে নিয়মিত সাঁতার কাটা বা জিমের হট টাবে আরাম করা অনেকের পছন্দ। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ডে লুকানো ঝুঁকি থাকতে পারে।

মার্কিন বিজ্ঞানীরা হট টাব এবং সুইমিংপুলে ক্ষতিকারক উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। সানট্যান লোশন, ঘাম এবং প্রস্রাবের সঙ্গে সুইমিংপুল পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত ক্লোরিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত হয়ে এসব ক্ষতিকারক উপাদান ছড়ায়।

গবেষণায় বলা হয়েছে, জীবাণুনাশক পণ্য কোষের জিনগত ক্ষতি করতে পারে। অন্য এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সুইমিংপুলের পানির সঙ্গে মূত্রাশয়ের ক্যানসার, অ্যাজমার যোগসূত্র রয়েছে।

আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা পাবলিক এবং প্রাইভেট হট টাব, সুইমিংপুল, ট্যাপের পানি, বেসিনের পানির স্বাভাবিক এবং তীব্র ব্যবহারের পর পরীক্ষা করেন। পরীক্ষার পর তারা পানিতে ব্যবহৃত একশ’র বেশি জীবাণুনাশক পণ্য এবং নমুনার নির্যাসের সম্ভাব্য কার্যকারিতা ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখতে পান, এগুলো কোষের জিনগত ক্ষতি করে। সুইমিংপুল এবং হট টাবের পানি ২.৪ এবং ৪.১ গুণ বেশ মিউটাজেনিক(জেনিটিক্যালি পরিবর্তিত)। সুইমিংপুলে যত বেশি মানুষ গোসল করবে পানির নমুনা তত বেশি মিউটাজেনিক হবে।

বিজ্ঞানীরা জিম এবং স্পা’র ব্যবস্থাপকদের জীবাণুনাশক পণ্য এবং সুইমংপুলের পানি ঘনঘন পরিবর্তন না করতে উপদেশ দিয়েছেন। সাঁতারু এবং হট টাব ব্যবহারকারীদের আগেভাগেই গোসল করা এবং সমাজবিরোধী অভ্যাস থেকে বিরত থাকলেও ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব বলে তারা বলেছেন।

যুক্তরাজ্যের ক্যানসার গবেষণার স্বাস্থ্য তথ্য কর্মকর্তা ডা. জানা উইট বলেছেন, গবেষণাকর্মটি অনেক মজার। এখানে পানিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক কিভাবে জীবাণুনাশক ব্যাকটেরিয়াদের প্রভাবিত করে তা বলা হয়েছে। মানবদেহে কিভাবে প্রভাব ফেলে বা কত সময়ের মধ্যে এর প্রভাব দেখা যায় এই সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। আমরা মানুষকে সুইমিংপুল বা স্পা এড়িয়ে যেতে বলছি না। প্রকৃত অর্থে, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে সাঁতার একটি ভালো ব্যায়াম। যা তিন ধরনের ক্যানসার দূর করতে পারে। সূত্র: ডেইলি মেইল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সুইমিংপুলের পানিতে ক্যানসারের ঝুঁকি

আপডেট টাইম : ০১:১৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০১৬

সুইমিংপুলে নিয়মিত সাঁতার কাটা বা জিমের হট টাবে আরাম করা অনেকের পছন্দ। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ডে লুকানো ঝুঁকি থাকতে পারে।

মার্কিন বিজ্ঞানীরা হট টাব এবং সুইমিংপুলে ক্ষতিকারক উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। সানট্যান লোশন, ঘাম এবং প্রস্রাবের সঙ্গে সুইমিংপুল পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত ক্লোরিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত হয়ে এসব ক্ষতিকারক উপাদান ছড়ায়।

গবেষণায় বলা হয়েছে, জীবাণুনাশক পণ্য কোষের জিনগত ক্ষতি করতে পারে। অন্য এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সুইমিংপুলের পানির সঙ্গে মূত্রাশয়ের ক্যানসার, অ্যাজমার যোগসূত্র রয়েছে।

আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা পাবলিক এবং প্রাইভেট হট টাব, সুইমিংপুল, ট্যাপের পানি, বেসিনের পানির স্বাভাবিক এবং তীব্র ব্যবহারের পর পরীক্ষা করেন। পরীক্ষার পর তারা পানিতে ব্যবহৃত একশ’র বেশি জীবাণুনাশক পণ্য এবং নমুনার নির্যাসের সম্ভাব্য কার্যকারিতা ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখতে পান, এগুলো কোষের জিনগত ক্ষতি করে। সুইমিংপুল এবং হট টাবের পানি ২.৪ এবং ৪.১ গুণ বেশ মিউটাজেনিক(জেনিটিক্যালি পরিবর্তিত)। সুইমিংপুলে যত বেশি মানুষ গোসল করবে পানির নমুনা তত বেশি মিউটাজেনিক হবে।

বিজ্ঞানীরা জিম এবং স্পা’র ব্যবস্থাপকদের জীবাণুনাশক পণ্য এবং সুইমংপুলের পানি ঘনঘন পরিবর্তন না করতে উপদেশ দিয়েছেন। সাঁতারু এবং হট টাব ব্যবহারকারীদের আগেভাগেই গোসল করা এবং সমাজবিরোধী অভ্যাস থেকে বিরত থাকলেও ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব বলে তারা বলেছেন।

যুক্তরাজ্যের ক্যানসার গবেষণার স্বাস্থ্য তথ্য কর্মকর্তা ডা. জানা উইট বলেছেন, গবেষণাকর্মটি অনেক মজার। এখানে পানিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক কিভাবে জীবাণুনাশক ব্যাকটেরিয়াদের প্রভাবিত করে তা বলা হয়েছে। মানবদেহে কিভাবে প্রভাব ফেলে বা কত সময়ের মধ্যে এর প্রভাব দেখা যায় এই সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। আমরা মানুষকে সুইমিংপুল বা স্পা এড়িয়ে যেতে বলছি না। প্রকৃত অর্থে, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে সাঁতার একটি ভালো ব্যায়াম। যা তিন ধরনের ক্যানসার দূর করতে পারে। সূত্র: ডেইলি মেইল।