এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যারয়ের ক্রিকেট মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার হোতা ওই লম্পট বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টস সেকশনের এক কর্মচারীর ছেলে ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র বলে জানা গেছে। তার নাম হাসানুর রহমান সাদ্দাম।
ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে ক্যাম্পাস ছেড়ে সে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১১টার দিকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র হাসানুর রহমান সাদ্দাম ও তার বান্ধবী হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী সেতু (ছদ্মনাম) কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠের পশ্চিম পাশে দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। এ সময় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির হয়। এক পর্যায়ে সাদ্দাম ওই ছাত্রীকে উপর্যপুরি কিল ঘুষি ও মাটিতে ফেলে বুট দিয়ে লাথি মারতে থাকে। এ সময় আশেপাশের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে সাদ্দাম তাদের দিকে ছুরি নিয়ে তেড়ে যান। পরে আরও বেশি শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে সাদ্দামকে ধাওয়া দিলে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যায়।
সাদ্দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার কর্মচারি হাবিবুর রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রদ্ধতি বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে ওই ছাত্রী নির্যাতনের পাশাপাশি সাদ্দাম তাকে এসিডে শরীর ঝলসে দেয়ার ও হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
এব্যাপারে ওই ছাত্রী সেতু বলেন, আমি ক্লাসের জন্য বিভাগের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ সে আমার সামনে এসে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমাকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয় আমি তাতে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে এ নির্যাতন করেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে এর দ্রুত বিচার চাই।
এব্যাপারে প্রক্টর পফেসর ড. ত. ম লোকমান হাকিম বলেন, সাদ্দামের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেতু নামের এক ছাত্রী এ অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, এ ধরনের অপরাধের কোন ছাড় দেয় উচিত হবেনা। লিখিত অভিযোগে ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছি।