ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘোষণার দু’সপ্তাহেও আগৈলঝাড়ায় শুরু হয়নি ধান সংগ্রহ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৮:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০১৬
  • ৩৯১ বার

উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় সরকার ঘোষণা দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ৫ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান-গম সংগ্রহের কথা থাকলেও বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গত দু’সপ্তাহেও শুরু হয়নি সরকারি ক্রয় অভিযান।

এ অবস্থায় এলাকার হাট-বাজারগুলোতে কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যেই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাঠের ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। গোলা ভরা ধান থাকলেও ফসলের দাম অপেক্ষাকৃত কম থাকায় মলিন হয়ে আছে কৃষকের মুখ।

কৃষকেরা জানান, প্রতি একর জমিতে ধান চাষে কৃষকের খরচ হয়েছে কম পক্ষে ৩৫ হাজার টাকা। একরে গড়ে ফলন হয়েছে ৫০ মন ধান। ধানের বর্তমান বাজার দর ৫৫০ টাকা। সে হিসেবে কৃষকের একর প্রতি উৎপাদিত ধানের মূল্য দাড়ায় ২৭ হাজার ৫শ’ টাকা।

উৎপাদন ও বর্তমান বাজার বিক্রি মূল্যে কৃষকের লোকসান হচ্ছে ৭ হাজার ৫শ’ টাকা সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ টাকা কেজি হিসেবে প্রতি মন ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৯শ’ ২০ টাকা। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ৯২০ টাকায় কৃষক ধান বিক্রি করতে পারলে একরের ধান বিক্রিতে তার লাভ হত ৯ হাজার টাকা।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ জানিয়েছেন, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ধান ক্রয়ের উদ্ভোধন না করলেও ১৭ মে থেকে ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৮ মে.টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। ধান সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঘোষণার দু’সপ্তাহেও আগৈলঝাড়ায় শুরু হয়নি ধান সংগ্রহ

আপডেট টাইম : ১২:৫৮:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০১৬

উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় সরকার ঘোষণা দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ৫ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান-গম সংগ্রহের কথা থাকলেও বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গত দু’সপ্তাহেও শুরু হয়নি সরকারি ক্রয় অভিযান।

এ অবস্থায় এলাকার হাট-বাজারগুলোতে কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যেই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাঠের ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। গোলা ভরা ধান থাকলেও ফসলের দাম অপেক্ষাকৃত কম থাকায় মলিন হয়ে আছে কৃষকের মুখ।

কৃষকেরা জানান, প্রতি একর জমিতে ধান চাষে কৃষকের খরচ হয়েছে কম পক্ষে ৩৫ হাজার টাকা। একরে গড়ে ফলন হয়েছে ৫০ মন ধান। ধানের বর্তমান বাজার দর ৫৫০ টাকা। সে হিসেবে কৃষকের একর প্রতি উৎপাদিত ধানের মূল্য দাড়ায় ২৭ হাজার ৫শ’ টাকা।

উৎপাদন ও বর্তমান বাজার বিক্রি মূল্যে কৃষকের লোকসান হচ্ছে ৭ হাজার ৫শ’ টাকা সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ টাকা কেজি হিসেবে প্রতি মন ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৯শ’ ২০ টাকা। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ৯২০ টাকায় কৃষক ধান বিক্রি করতে পারলে একরের ধান বিক্রিতে তার লাভ হত ৯ হাজার টাকা।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ জানিয়েছেন, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ধান ক্রয়ের উদ্ভোধন না করলেও ১৭ মে থেকে ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৮ মে.টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। ধান সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।