ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিঙ্গাপুরের’ ডেভিডকে নিয়ে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া!

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১৮৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি এখনও দেড় মাস। অস্ট্রেলিয়া দল ঘোষণা করে দিল এত আগেই। সেই দলে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম টিম ডেভিড। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ১২টি টি-টোয়েন্টি খেলা বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান অবশেষে জায়গা পেলেন অস্ট্রেলিয়া দলে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড ঘোষণা করা হয় গতকাল। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াড থেকে পরিবর্তন স্রেফ এই একটিই। বিশ্বকাপ স্কোয়াড দিয়েই প্রথমবার দলে ডাক পাওয়া মানে সাধারণত চমকই বলতে হয়।

তবে ডেভিড অস্ট্রেলিয়া দলের দুয়ারে কড়া নাড়ছিলেন অনেক দিন ধরেই। ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানকে দলে নেওয়ার আলোচনাও ছিল প্রবল। সেই অর্থে তাই এটিকে চমক বলা কঠিন। ডেভিডকে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসন। লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা ও বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার আছেন দলে। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে তৃতীয় আর কোনো স্পিনার প্রয়োজন নেই বলেই মনে হয়েছে নির্বাচকদের। ডেভিডের অর্ন্তভুক্তি ছাড়া কৌতূহল ছিল কেন রিচার্ডসনের জায়গা নিয়ে। গত কিছুদিনে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়া ন্যাথান এলিসের সম্ভাবনাও ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এলিসের জায়গা হয়নি। রিচার্ডসনের পাশাপাশি টিকে গেছেন কিপার-ব্যাটসম্যান জশ ইংলিসও।

ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডেভিড এখন পরিচিত এক নাম। গত আইপিএলের নিলামে তাকে ৮ কোটি ২৫ লাখ রূপির (প্রায় ১৫ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার) চোখধাঁধানো অঙ্কে দলে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এছাড়াও পিসিএল মাতিয়েছেন তিনি, খেলেছেন সিপিএল, টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট, বিগ ব্যাশে। এখন খেলছেন ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড-এ।
টিম ডেভিডের বাবা রড ডেভিড অস্ট্রেলিয়ান। রড পেশায় ছিলেন প্রকৌশলী। পাশাপাশি ক্রিকেটও খেলতেন। পেশাগত কাজে নব্বইয়ের দশকে রডের ঠিকানা হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানেই ১৯৯৬ সালে জন্ম টিম ডেভিডের। শখের ক্রিকেট খেলতে গিয়েই রড ডেভিড জায়গা পেয়ে যান সিঙ্গাপুরের জাতীয় দলে। ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফিতে সিঙ্গাপুরের হয়ে খেলেন তিনি। মালেয়েশিয়ার বিপক্ষে ১০ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলকে জয় উপহার দেন।

পরে আর সিঙ্গাপুরে থিতু হননি রড ডেভিড। ফিরে যান স্বদেশে।
টিম ডেভিডের বেড়ে ওঠা ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায়। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট সিস্টেমেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলে খেলেছেন। রাজ্যের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে একটি আসরে চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের পর বিগ ব্যাশেও জায়গা পেয়ে যান। তবে শুরুতে বিগ ব্যাশে তেমন কিছু করতে পারেননি। সুযোগও মিলেছে কম। পরে অবশ্য আস্তে আস্তে নিজের ঝলক দেখাতে থাকেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দল ছিল অনেক দূরের পথ। এর মধ্যেই জন্ম পরিচয়ের সূত্রে ডাক আসে সিঙ্গাপুরের হয়ে খেলার। তিনি লুফে নেন।

২০১৯ সালে কাতারের বিপক্ষে তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক। প্রথম ম্যাচে করেন ২৯ বলে ৩৮। দিন পাঁচেক পরই নেপালের বিপক্ষে খেলেন ৪৩ বলে ৭৭ রানের ইনিংস, পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেই ৪৪ বলে অপরাজিত ৬৪। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সবশেষ দুই ম্যাচে তার রান ৩২ বলে ৯২ ও ৪৬ বলে ৫৮। ২০২০ সালের মার্চের পর অবশ্য আর সিঙ্গাপুরের হয়ে খেলা হয়নি তার। সবমিলিয়ে দেশটির হয়ে ১২ টি-টোয়েন্টি খেলে ৪৬.৫০ গড়ে তার রান ৫৫৮, স্ট্রাইক রেট ১৫৮.৫২। এসবের মধ্যেই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকদের নজরও কাড়েন। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব তো তার আছেই।

গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের অস্ট্রেলিয়া দলেই তাকে নেওয়ার আলোচনা ছিল। তবে সে সময় পিএসএলেও তার খেলার সুযোগ ছিল। নির্বাচকদের সঙ্গে তার আলোচনার পর ঠিক হয়, অস্ট্রেলিয়া দলে ডাগ আউটে বসে থাকা আর পানি টানার চেয়ে পিএসএলে গিয়ে ম্যাচ খেলা ভালো। মুলতান সুলতানসের হয়ে সেই পিএসএলে সুযোগটা কাজে লাগান তিনি ১৯৪.৪০ স্ট্রাইক রেটে ২৭৮ রান করে। ওই টুর্নামেন্ট চলার সময়ই আইপিএলে মোটা অঙ্কে দল পেয়ে যান।
গত বছরের আইপিএলেও তিনি ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর দলে। তবে সুযোগ পেয়েছিলেন কেবল একটি ম্যাচে। এবারও শুরুতে যথেষ্ট সুযোগ পাননি। পরে অবশ্য সব মিলিয়ে ৮ ম্যাচ খেলেন মুম্বাইয়ের হয়ে।

খুব বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও নিজের শক্তির জায়গাটা প্রমাণ করেন ঠিকই। ১৮৬ রান করেন ২১৬.২৮ স্ট্রাইক রেটে! সব মিলিয়ে ১২২ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ৩২.১৯ গড়ে রান ২ হাজার ৬৪০, স্ট্রাইক রেট ১৬৪.১৭। ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার সুঠামদেহী ব্যাটসম্যানের বড় শট খেলার সামর্থ্য সহজাত। ১১৫ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ১৬০টি। পাশাপাশি কাজ চালানোর মতো অফ স্পিনও করেন। ২০২১ সালের শুরু থেকে পাঁচ নম্বর বা এর নিচে ব্যাট করে তার স্ট্রাইক রেট ১৬৪.৫৬, এখানে গোটা বিশ্বের তার ধারেকাছে নেই কেউ। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলে তার জায়গা পাওয়া অবধারিতই ছিল। বিশ্বকাপ দিয়েই সেটি হলো।

অক্টোবর-নভেম্বরে দেশের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাবে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দল। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত সফরে তারা খেলবে তিনটি টি-টোয়েন্টি। এই সিরিজে অবশ্য বিশ্রামে থাকবেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার বদলে খেলবেন অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন। এরপর অক্টোবরের শুরুতে তারা পিঠাপিঠি সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচ ২২ অক্টোবর, সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দল : অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার*, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস্ট স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, টিম ডেভিড, জশ ইংলিস, অ্যাশটন অ্যাগার, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জ্যাম্পা, জশ হেইজেলউড, কেন রিচার্ডসন।
এই মাসের ভারত সফরের দলে ওয়ার্নারের বদলে থাকবেন ক্যামেরন গ্রিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সিঙ্গাপুরের’ ডেভিডকে নিয়ে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া!

আপডেট টাইম : ০৯:৪৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি এখনও দেড় মাস। অস্ট্রেলিয়া দল ঘোষণা করে দিল এত আগেই। সেই দলে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম টিম ডেভিড। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ১২টি টি-টোয়েন্টি খেলা বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান অবশেষে জায়গা পেলেন অস্ট্রেলিয়া দলে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড ঘোষণা করা হয় গতকাল। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াড থেকে পরিবর্তন স্রেফ এই একটিই। বিশ্বকাপ স্কোয়াড দিয়েই প্রথমবার দলে ডাক পাওয়া মানে সাধারণত চমকই বলতে হয়।

তবে ডেভিড অস্ট্রেলিয়া দলের দুয়ারে কড়া নাড়ছিলেন অনেক দিন ধরেই। ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানকে দলে নেওয়ার আলোচনাও ছিল প্রবল। সেই অর্থে তাই এটিকে চমক বলা কঠিন। ডেভিডকে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসন। লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা ও বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার আছেন দলে। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে তৃতীয় আর কোনো স্পিনার প্রয়োজন নেই বলেই মনে হয়েছে নির্বাচকদের। ডেভিডের অর্ন্তভুক্তি ছাড়া কৌতূহল ছিল কেন রিচার্ডসনের জায়গা নিয়ে। গত কিছুদিনে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়া ন্যাথান এলিসের সম্ভাবনাও ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এলিসের জায়গা হয়নি। রিচার্ডসনের পাশাপাশি টিকে গেছেন কিপার-ব্যাটসম্যান জশ ইংলিসও।

ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডেভিড এখন পরিচিত এক নাম। গত আইপিএলের নিলামে তাকে ৮ কোটি ২৫ লাখ রূপির (প্রায় ১৫ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার) চোখধাঁধানো অঙ্কে দলে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এছাড়াও পিসিএল মাতিয়েছেন তিনি, খেলেছেন সিপিএল, টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট, বিগ ব্যাশে। এখন খেলছেন ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড-এ।
টিম ডেভিডের বাবা রড ডেভিড অস্ট্রেলিয়ান। রড পেশায় ছিলেন প্রকৌশলী। পাশাপাশি ক্রিকেটও খেলতেন। পেশাগত কাজে নব্বইয়ের দশকে রডের ঠিকানা হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানেই ১৯৯৬ সালে জন্ম টিম ডেভিডের। শখের ক্রিকেট খেলতে গিয়েই রড ডেভিড জায়গা পেয়ে যান সিঙ্গাপুরের জাতীয় দলে। ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফিতে সিঙ্গাপুরের হয়ে খেলেন তিনি। মালেয়েশিয়ার বিপক্ষে ১০ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলকে জয় উপহার দেন।

পরে আর সিঙ্গাপুরে থিতু হননি রড ডেভিড। ফিরে যান স্বদেশে।
টিম ডেভিডের বেড়ে ওঠা ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায়। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট সিস্টেমেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলে খেলেছেন। রাজ্যের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে একটি আসরে চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের পর বিগ ব্যাশেও জায়গা পেয়ে যান। তবে শুরুতে বিগ ব্যাশে তেমন কিছু করতে পারেননি। সুযোগও মিলেছে কম। পরে অবশ্য আস্তে আস্তে নিজের ঝলক দেখাতে থাকেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দল ছিল অনেক দূরের পথ। এর মধ্যেই জন্ম পরিচয়ের সূত্রে ডাক আসে সিঙ্গাপুরের হয়ে খেলার। তিনি লুফে নেন।

২০১৯ সালে কাতারের বিপক্ষে তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক। প্রথম ম্যাচে করেন ২৯ বলে ৩৮। দিন পাঁচেক পরই নেপালের বিপক্ষে খেলেন ৪৩ বলে ৭৭ রানের ইনিংস, পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেই ৪৪ বলে অপরাজিত ৬৪। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সবশেষ দুই ম্যাচে তার রান ৩২ বলে ৯২ ও ৪৬ বলে ৫৮। ২০২০ সালের মার্চের পর অবশ্য আর সিঙ্গাপুরের হয়ে খেলা হয়নি তার। সবমিলিয়ে দেশটির হয়ে ১২ টি-টোয়েন্টি খেলে ৪৬.৫০ গড়ে তার রান ৫৫৮, স্ট্রাইক রেট ১৫৮.৫২। এসবের মধ্যেই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকদের নজরও কাড়েন। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব তো তার আছেই।

গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের অস্ট্রেলিয়া দলেই তাকে নেওয়ার আলোচনা ছিল। তবে সে সময় পিএসএলেও তার খেলার সুযোগ ছিল। নির্বাচকদের সঙ্গে তার আলোচনার পর ঠিক হয়, অস্ট্রেলিয়া দলে ডাগ আউটে বসে থাকা আর পানি টানার চেয়ে পিএসএলে গিয়ে ম্যাচ খেলা ভালো। মুলতান সুলতানসের হয়ে সেই পিএসএলে সুযোগটা কাজে লাগান তিনি ১৯৪.৪০ স্ট্রাইক রেটে ২৭৮ রান করে। ওই টুর্নামেন্ট চলার সময়ই আইপিএলে মোটা অঙ্কে দল পেয়ে যান।
গত বছরের আইপিএলেও তিনি ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর দলে। তবে সুযোগ পেয়েছিলেন কেবল একটি ম্যাচে। এবারও শুরুতে যথেষ্ট সুযোগ পাননি। পরে অবশ্য সব মিলিয়ে ৮ ম্যাচ খেলেন মুম্বাইয়ের হয়ে।

খুব বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও নিজের শক্তির জায়গাটা প্রমাণ করেন ঠিকই। ১৮৬ রান করেন ২১৬.২৮ স্ট্রাইক রেটে! সব মিলিয়ে ১২২ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ৩২.১৯ গড়ে রান ২ হাজার ৬৪০, স্ট্রাইক রেট ১৬৪.১৭। ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার সুঠামদেহী ব্যাটসম্যানের বড় শট খেলার সামর্থ্য সহজাত। ১১৫ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ১৬০টি। পাশাপাশি কাজ চালানোর মতো অফ স্পিনও করেন। ২০২১ সালের শুরু থেকে পাঁচ নম্বর বা এর নিচে ব্যাট করে তার স্ট্রাইক রেট ১৬৪.৫৬, এখানে গোটা বিশ্বের তার ধারেকাছে নেই কেউ। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলে তার জায়গা পাওয়া অবধারিতই ছিল। বিশ্বকাপ দিয়েই সেটি হলো।

অক্টোবর-নভেম্বরে দেশের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাবে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দল। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত সফরে তারা খেলবে তিনটি টি-টোয়েন্টি। এই সিরিজে অবশ্য বিশ্রামে থাকবেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার বদলে খেলবেন অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন। এরপর অক্টোবরের শুরুতে তারা পিঠাপিঠি সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচ ২২ অক্টোবর, সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দল : অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার*, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস্ট স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, টিম ডেভিড, জশ ইংলিস, অ্যাশটন অ্যাগার, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জ্যাম্পা, জশ হেইজেলউড, কেন রিচার্ডসন।
এই মাসের ভারত সফরের দলে ওয়ার্নারের বদলে থাকবেন ক্যামেরন গ্রিন।