হাওর বার্তা ডেস্কঃ মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মাঠে চাষ হচ্ছে কাঠিমন আম। সুমিষ্ট এ আম থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা। এ আম বারোমাসি। তাই গাছে কখনও মুকুল আবার কখনও কাঁচা-পাকা আম ঝুলছে। অসময়ে উৎপাদিত এ আমের চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় এ আম চাষ বাড়ছে। সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মঈন উল আলম ওরফে বুলবুল এনজিও কর্মকর্তা।
তিনি গত বছর তার ২ বিঘা ৫ কাঠা মাঠের জমিতে প্রায় ২৪০টি কাঠিমন জাতের আমের চারা রোপণ করেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। বছর ঘুরতে না ঘুরতে গাছে গাছে মুকুল আর কাঁচাপাকা আম ঝুলছে। আমচাষি বুলবুল জানান, নতুন গাছ হলেও এবছর তার বাগানে গাছে গাছে মুকুল আর কাঁচাপাকা আম ধরেছে। প্রতিটি আমের ওজন প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম হবে। কয়েক দিন আগে তিনি তার বাগান থেকে ৮ মণ আম তুলছেন। ঢাকার এক ব্যবসায়ী প্রতি কেজি ২৫০ টাকা দরে এসব আম কিনেছেন। প্রতি বছর তার বাগান পরিচর্যা ও সার-বিষ দিতে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা করে খরচ হবে।
তিনি মনে করেন- দিনে দিনে এ বাগানের ফলন বৃদ্ধি পাবে। বিধায় তার লাভ আরও বেশি হবে। জেলা ক্যাবের সভাপতি রফিক উল আলম বলেন- সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরা অসময়ের এ আমের চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় কাঠিমন আম চাষ এ জেলার কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারে। মেহেরপুর জেলার মাটি সবজি আর বাগান চাষের জন্য উপযুক্ত।
তাই তিনি মনে করেন- অতীতের ক্ষতি কাটিয়ে সচ্ছলতার মুখ দেখতে এ জেলার কৃষকরা বেশি করে কাঠিমন আমের বাগান করবেন। মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের রামিজ আহসান বলেন- লোকমুখে শুনে এ আমের বাগান দেখতে এসেছি। নতুন এ বাগানটিতে ঝুলে থাকা আম আর মুকুল দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। চারা সংগ্রহ করে আমি আগামী বছর দুই বিঘা জমিতে এ আমের চাষ করব। সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আদালত হোসেন জানান তিনি তার তিন বিঘা জমিতে এ আমের চাষ করবেন।
সদর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন- কাঠিমন আমের বাগান করার প্রথম ৩ বছর সাথী ফসল চাষ বাধ্যতামূলক। ওই সাথী ফসল বিক্রির টাকা হতে বাগান করার খরচ এবং পরিচর্যা ও সার-বিষ কেনার খরচ জোগাবে। এছাড়া সিজিনাল আমের সময় মুকুল আসলে তা কেটে দেয়া ভালো হবে। তিনি আরও বলেন- অসময়ের উৎপাদিত কাঠিমন আম ফলের চাহিদা পূরণ করবে। জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে পাশাপাশি আমচাষি লাভবান হবেন। আমরা এ আম চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি এবং রোগবালাই দমনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।