ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কান শিশুদের পাশে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৫:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
  • ২০০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট মাথায় নিয়েও অজিদের সফরে কোথাও ঘাটতি রাখেনি শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে সফরে এসে ভয়াবহ পরিস্থিতি কাছ থেকে দেখে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা।

 

ফিরে যেয়ে এগিয়ে এলেন সাহায্যে। সিরিজের প্রাইজমানির ৩০ হাজার ডলার লঙ্কান শিশুদের সাহায্যে দিয়েছেন কামিন্স-ওয়ার্নাররা।

ঋণের দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা মাথা তুলে দম নেওয়ার অবকাশ টুকুও পাচ্ছে না। খাদ্য, পানীয়, স্বাস্থ্যের সংকট দেখা দিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, স্কুল-কলেজ খুলছে না পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না প্রশ্নপত্র ছাপার কালি না থাকায়। অকল্পনীয় অগ্নিমূল্য সমস্ত দ্রব্যের। জ্বালানির লম্বা লাইনে দাঁড়ালে কবে তা পাওয়া যাবে তার কোনও ইয়েত্তা নেই। গোটা দেশকে বেচে খাওয়া পূর্ববর্তী সরকারের বিরুদ্ধে জন সাধারণের রোষ দেখেছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন সরকারী দফতরে ভাঙচুর ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ দেখিয়েছে সরকারের অপরাধে তিলে তিলে শেষ হতে বসা মানুষগুলো।

কামিন্সের কণ্ঠে আগেই উঠে এসেছিল শ্রীলঙ্কান শিশুদের করুণ কাহিনি। সেখানে বাবা–মায়েরা নিজেরা না খেয়ে বা এক দিন অন্তর খেয়ে শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। গলে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতলেও দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ৩৯ রানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপরই কামিন্সের কণ্ঠে ছিল শ্রীলঙ্কানদের প্রতি সহমর্মিতা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক ভিডিও বার্তায় কামিন্স শ্রীলঙ্কায় নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন, ‘হোটেলের কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা হয়েছে। কী কষ্টটাই না করছে তারা। বাচ্চাদের মুখে খাবার তুলে দিতে তারা এক দিন অন্তর না খেয়ে থাকছে! মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমরা কত সৌভাগ্যবান। ’

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা তাঁদের পুরস্কারের ৩০ হাজার ডলার শ্রীলঙ্কার শিশুদের জন্য দিচ্ছেন। এটা শ্রীলঙ্কান জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা থেকেই করছেন। দেশটিতে সফরে গিয়ে ক্রিকেটাররা মানুষের দুর্ভোগ দেখেছেন। খাবার কিনতে লম্বা লাইন দেখেছেন, গাড়ির জ্বালানি নেওয়ার জন্য রাত জেগে অপেক্ষা করতে দেখেছেন মানুষকে। শিশুখাদ্যের অভাব অনুভব করেছেন
লঙ্কান বাচ্চাদের সাহায্যে দেয়া অর্থ জাতিসংঘের শিশু সহায়তা সংস্থা ইউনিসেফের কাছে যাবে। যা পরবর্তীতে শিশুদের জন্য ব্যয় করবে ইউনিসেফ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীলঙ্কান শিশুদের পাশে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা

আপডেট টাইম : ০৮:১৫:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট মাথায় নিয়েও অজিদের সফরে কোথাও ঘাটতি রাখেনি শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে সফরে এসে ভয়াবহ পরিস্থিতি কাছ থেকে দেখে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা।

 

ফিরে যেয়ে এগিয়ে এলেন সাহায্যে। সিরিজের প্রাইজমানির ৩০ হাজার ডলার লঙ্কান শিশুদের সাহায্যে দিয়েছেন কামিন্স-ওয়ার্নাররা।

ঋণের দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা মাথা তুলে দম নেওয়ার অবকাশ টুকুও পাচ্ছে না। খাদ্য, পানীয়, স্বাস্থ্যের সংকট দেখা দিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, স্কুল-কলেজ খুলছে না পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না প্রশ্নপত্র ছাপার কালি না থাকায়। অকল্পনীয় অগ্নিমূল্য সমস্ত দ্রব্যের। জ্বালানির লম্বা লাইনে দাঁড়ালে কবে তা পাওয়া যাবে তার কোনও ইয়েত্তা নেই। গোটা দেশকে বেচে খাওয়া পূর্ববর্তী সরকারের বিরুদ্ধে জন সাধারণের রোষ দেখেছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন সরকারী দফতরে ভাঙচুর ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ দেখিয়েছে সরকারের অপরাধে তিলে তিলে শেষ হতে বসা মানুষগুলো।

কামিন্সের কণ্ঠে আগেই উঠে এসেছিল শ্রীলঙ্কান শিশুদের করুণ কাহিনি। সেখানে বাবা–মায়েরা নিজেরা না খেয়ে বা এক দিন অন্তর খেয়ে শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। গলে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতলেও দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ৩৯ রানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপরই কামিন্সের কণ্ঠে ছিল শ্রীলঙ্কানদের প্রতি সহমর্মিতা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক ভিডিও বার্তায় কামিন্স শ্রীলঙ্কায় নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন, ‘হোটেলের কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা হয়েছে। কী কষ্টটাই না করছে তারা। বাচ্চাদের মুখে খাবার তুলে দিতে তারা এক দিন অন্তর না খেয়ে থাকছে! মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমরা কত সৌভাগ্যবান। ’

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা তাঁদের পুরস্কারের ৩০ হাজার ডলার শ্রীলঙ্কার শিশুদের জন্য দিচ্ছেন। এটা শ্রীলঙ্কান জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা থেকেই করছেন। দেশটিতে সফরে গিয়ে ক্রিকেটাররা মানুষের দুর্ভোগ দেখেছেন। খাবার কিনতে লম্বা লাইন দেখেছেন, গাড়ির জ্বালানি নেওয়ার জন্য রাত জেগে অপেক্ষা করতে দেখেছেন মানুষকে। শিশুখাদ্যের অভাব অনুভব করেছেন
লঙ্কান বাচ্চাদের সাহায্যে দেয়া অর্থ জাতিসংঘের শিশু সহায়তা সংস্থা ইউনিসেফের কাছে যাবে। যা পরবর্তীতে শিশুদের জন্য ব্যয় করবে ইউনিসেফ।