সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনেচ্ছুদের পূর্ণাঙ্গ নিবন্ধন শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনকৃত তিনজন হজ গমনেচ্ছু ব্যাংকে অবশিষ্ট টাকা জমা দিয়েছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনার হাজিদের অবশিষ্ট টাকা শুধুমাত্র সোনালী ব্যাংকে গ্রহন করা হচ্ছে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্রাক-নিবন্ধনকৃত হজ গমনেচ্ছুরা নির্ধারিত ২৩টি ব্যাংকে টাকা জমা প্রদান শুরু করলেও তাদের কারও নাম এখন পর্যন্ত রেকর্ডভুক্ত হয়নি।
সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় সকল প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা করে নিবন্ধন করতে পারবেন।
বেসরকারি ব্যবস্হাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত প্রথম ৮৮,১৯৭ হজযাত্রী (প্রাক-নিবন্ধন সিরিয়াল নম্বর ১ হতে ৮৮,২৩৬ পর্যন্ত) যথারীতি নিবন্ধন করতে পারবেন। এর ফলে চলতি বছর হজ গমনেচ্ছু লক্ষাধিক নারী, পুরুষ ও শিশুর অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো।
চলতি বছর সরকারিভাবে ১০ হাজার এবং বেসরকারিভাবে ৯১ হাজার ৭৫৮ জনসহ মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের কোটা বরাদ্দ রয়েছে। ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে ৪ হাজার ৪শ’১৭জন ও বেসরকারিভাবে মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৯জন প্রাক নিবন্ধন করেছেন। চলতি বছর মোট ৪৮০টি এজেন্সি ২৩টি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাক নিবন্ধনের টাকা জমা দেয়।
হজ নীতিমালা অনুসারে কোন হজ এজেন্সি ১৫০ জনের কম হাজি নিতে পারবেন না। চলতি বছর প্রাথমিকভাবে ৪৮৩টি হজ এজেন্সি হাজি নেয়ার অনুমতি পেলেও পরবর্তীতে ১৫০ জনের কম হাজি প্রাক-নিবন্ধনসহ নানা অভিযোগে তিনটি এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করে সৌদি সরকার।
জানা গেছে প্রাক-নিবন্ধনে নির্ধারিত ১৫০ জন সুযোগ পেলেও পরবর্তীতে অনেক এজেন্সি থেকে প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তি হজে না যাওয়ার অপারগতা প্রকাশ করলে বেশ কিছু এজেন্সির যাত্রী সংখ্যা কমে যায়।