ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এর জীবন বৃত্তান্ত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
  • ২১৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ১৯৫০ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অ্যাডভোকেট এম. এ. মজিদ এবং মাতা নূর বেগম। তিনি বৃহত্তর ঢাকা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলর ট্রাইব্যুনালের সভাপতি ছিলেন। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের পিতামহ অবিভক্ত বাংলার ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম নাদিরা মাহমুদ।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ১৯৬৭ সালে তৎকালীন ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় সেন্ট গ্রেগরি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে এমএসএস এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশার পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি ষাটের দশকে আইয়ুব-মোনায়েম বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের তৎকালীন পাওয়ার বেইস রুচিরা গ্রুপের অন্যতম সদস্য ছিলেন। পাকিস্থানী স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলনে ছাত্র নেতা হিসেবে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে যুবলীগকে পুনর্গঠনের নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর তাঁর নির্দেশে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের নেতৃত্বে যুবছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় এবং তিনি যুবছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। গোলাম আযমসহ ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন। ১/১১ এর ঘটনা পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারামুক্ত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ১৯৮৬ সালে প্রথম আওয়ামী লীগের মনোনীত চতুর্থ জাতীয় সংসদের সংসদ-সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালের ০৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দশম জাতীয় সংসদে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ০৭ জানুয়ারি, ২০১৯ শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

তিনি এলাকার সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তিনি বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির উপদেষ্টা, গুলশান সোসাইটির আজীবন সদস্য, সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতির সদস্য, ঢাকা ক্লাব, বারিধারা ক্লাব এবং গুলশান নর্থ ক্লাবের সদস্য। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে তাঁর পিতা ১৯৬২ সালে গোতাশিয়া শুকুর মাহুমুদ উচ্চ বিদ্যালয়; পাঁচকান্দি ডিগ্রী কলেজ; বেলাব কলেজ এবং সর্বলক্ষণা সিনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। জনাব হুমায়ূন গোতাশিয়া এম.এ মজিদ বি.এম কলেজ; খিদিরপুর কলেজ; মহোনহরদী কলেজ; বারৈচা ডিগ্রী কলেজ; পোড়াদিয়া ওয়াসিম উদ্দিন খান ডিগ্রী কলেজ; পাঁচকান্দি ডিগ্রী কলেজ ও গোতাশিয়া নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার সাথে সম্পৃক্ত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনার সাথে জড়িত আছেন। তিনি একজন শিক্ষাবান্ধব জনপ্রতিনিধি।

তিনি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার সাথে সম্পৃক্ত থেকে অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকে শেখ কামালের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু, খেলার সাথী, সহপাঠি ও সহযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৬৮ সালে শেখ কামালের সহযাত্রী হিসেবে ঢাকা বোর্ড ক্রিকেট টিমের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের ফুটবল টিমের অধিনায়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টিমের সদস্য ছিলেন।

জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। তিনি বাংলা, ইংরেজি, উর্দু ও হিন্দি ভাষায় দক্ষ। তিনি বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, সুইডেন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, দুবাই, থাইল্যান্ড, নেপাল, পাকিস্থান, সৌদি আরব, মঙ্গোলিয়া, আফ্রিকা এবং তুরস্ক সফর করেন।

জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। বই পড়া, খেলাধূলা, গানশুনা ও ভ্রমণ তাঁর শখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এর জীবন বৃত্তান্ত

আপডেট টাইম : ০১:০২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ১৯৫০ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অ্যাডভোকেট এম. এ. মজিদ এবং মাতা নূর বেগম। তিনি বৃহত্তর ঢাকা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলর ট্রাইব্যুনালের সভাপতি ছিলেন। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের পিতামহ অবিভক্ত বাংলার ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম নাদিরা মাহমুদ।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ১৯৬৭ সালে তৎকালীন ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় সেন্ট গ্রেগরি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে এমএসএস এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশার পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি ষাটের দশকে আইয়ুব-মোনায়েম বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের তৎকালীন পাওয়ার বেইস রুচিরা গ্রুপের অন্যতম সদস্য ছিলেন। পাকিস্থানী স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলনে ছাত্র নেতা হিসেবে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে যুবলীগকে পুনর্গঠনের নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর তাঁর নির্দেশে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের নেতৃত্বে যুবছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় এবং তিনি যুবছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। গোলাম আযমসহ ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন। ১/১১ এর ঘটনা পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারামুক্ত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ১৯৮৬ সালে প্রথম আওয়ামী লীগের মনোনীত চতুর্থ জাতীয় সংসদের সংসদ-সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালের ০৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দশম জাতীয় সংসদে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ০৭ জানুয়ারি, ২০১৯ শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

তিনি এলাকার সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তিনি বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির উপদেষ্টা, গুলশান সোসাইটির আজীবন সদস্য, সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতির সদস্য, ঢাকা ক্লাব, বারিধারা ক্লাব এবং গুলশান নর্থ ক্লাবের সদস্য। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে তাঁর পিতা ১৯৬২ সালে গোতাশিয়া শুকুর মাহুমুদ উচ্চ বিদ্যালয়; পাঁচকান্দি ডিগ্রী কলেজ; বেলাব কলেজ এবং সর্বলক্ষণা সিনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। জনাব হুমায়ূন গোতাশিয়া এম.এ মজিদ বি.এম কলেজ; খিদিরপুর কলেজ; মহোনহরদী কলেজ; বারৈচা ডিগ্রী কলেজ; পোড়াদিয়া ওয়াসিম উদ্দিন খান ডিগ্রী কলেজ; পাঁচকান্দি ডিগ্রী কলেজ ও গোতাশিয়া নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার সাথে সম্পৃক্ত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনার সাথে জড়িত আছেন। তিনি একজন শিক্ষাবান্ধব জনপ্রতিনিধি।

তিনি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার সাথে সম্পৃক্ত থেকে অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকে শেখ কামালের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু, খেলার সাথী, সহপাঠি ও সহযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৬৮ সালে শেখ কামালের সহযাত্রী হিসেবে ঢাকা বোর্ড ক্রিকেট টিমের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের ফুটবল টিমের অধিনায়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টিমের সদস্য ছিলেন।

জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। তিনি বাংলা, ইংরেজি, উর্দু ও হিন্দি ভাষায় দক্ষ। তিনি বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, সুইডেন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, দুবাই, থাইল্যান্ড, নেপাল, পাকিস্থান, সৌদি আরব, মঙ্গোলিয়া, আফ্রিকা এবং তুরস্ক সফর করেন।

জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। বই পড়া, খেলাধূলা, গানশুনা ও ভ্রমণ তাঁর শখ।