হাওর বার্তা ডেস্কঃ কানে কটন বাড ব্যবহার করার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কানের ময়লা কিংবা কান চুলকাতে কটন বাড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কারণ কাঠি দিয়ে কান খোঁচানোর চেয়ে কটন বাড ঢেড় ভালো এবং নিরাপদ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই! কিন্তু জানেন কি বাস্তবে এই কটন বাড কানের জন্য কতটা মারাত্মক!
কটন বাড ব্যবহারের ফলে কানের পর্দা ফেটে শ্রবণশক্তি পর্যন্ত হারাতে পারেন। আবার পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণেই আচমকা কানের পর্দা ফাটতে পারে। যেমন-
কানের কোনো অসুখ যেমন- কানের মধ্যে ক্রনিক সাপোরেটিভ অটাইটিস মিডিয়া হলে।
কোনো কিছু দিয়ে কান খোঁচালে। যেমন- কটন বাড।
কানে কিছু প্রবেশ করলে এবং অদক্ষ হাতে তা বের করার চেষ্টা করলে।
দুর্ঘটনা বা আঘাতে কান ক্ষতিগ্রস্ত হলে।
হঠাৎ কানে বাতাসের চাপ বেড়ে গেলে। যেমন- থাপ্পড় মারা, বোমা বিস্ফোরণ, অতি উচ্চ শব্দের শব্দ ইত্যাদি কারণে।
পানিতে ডাইভিং বা সাঁতার কাটার সময় হঠাৎ পানির বাড়তি চাপের কারণে পর্দায় চাপ পড়লে।
কানের অন্য অপারেশনের সময়ও কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হলে।
যাদের কানের পর্দা আগে থেকেই দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের ক্ষেত্রে নাক চেপে কানে বাতাস দিয়ে চাপ দিলেও পর্দা ফাটতে পারে।
সাধারণত একজন চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা না করানো পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যায় না ওপরের কোনো কারণে কানের পর্দা আসলেই ফেটেছে কি না।
কানের পর্দা ফাটলে যেসব উপসর্গগুলো দেখা দেয়-
কানে তীব্র ব্যথা।
কান থেকে পরিষ্কার বা রক্ত মিশ্রিত পানি বের হওয়া।
কানে কম শোনা।
কানে শোঁ শোঁ বা মেশিন চলার মতো শব্দ।
মাথা ঘোরানো।
কানের পর্দা ছিদ্র হলে করণীয়
চিকিৎসার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে আক্রান্ত কানে পানি ঢোকানো যাবে না।
কান পরিষ্কার করার চেষ্টা না করাই ভালো।
কানে জমাট রক্ত থাকলে সেগুলোও নাড়াচাড়া না করা উচিত।
প্রাথমিকভাবে কানে কোনো ধরনের ড্রপ দেয়া যাবে না। এ ধরনের সমস্যার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। নিজ থেকে কিছু করতে যাবেন না। তাতে আরো বেশি ক্ষতি হতে পারে।