ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

অপার সম্ভাবনার নিদ্রা সমুদ্র সৈকত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
  • ২২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একদিকে সাগর আর অন্যদিকে নদী, মাঝখানে বেড়ে ওঠা কেওড়া ও ঝাউবনে ঘেরা সবুজ এক দৃষ্টিনন্দন সৈকত ঘিরে চলে দিবানিশি জোয়ার-ভাটার খেলা। সৈকত সৌন্দর্যে এমন অপার সম্ভাবনাময় সৈকতের নাম নিদ্রা।

বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নে এর অবস্থান। পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর মিলনস্থল এটি।

স্থানটির বৈচিত্র্য বাড়িয়ে তুলেছে জোয়ার-ভাটা আর ঢেউয়ে সবুজ গালিচাময় বিস্তৃর্ণ ঘাস আর শ্বাসমূল। চারপাশে ছোট ছোট গর্ত আর তারই মাঝে জোয়ার ভাটার পানি দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। নদী অববাহিকার নোনা পানিতে সৃষ্টি হয়েছে প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা বেলাভূমি; যা সবসময় সাগরের মুক্ত বাতাস এবং চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পর্যটকদের আকর্ষণ করে চলেছে। কেউ একবার নিদ্রা গেলে মনে রাখবেন সারাজীবন।

এ চরের লাগোয়া আরেকটি মুগ্ধকর স্থান হচ্ছে শুভসন্ধ্যা সৈকত; যা পর্যটকদের কাছে একটি বাড়তি আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জোছনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এ সৈকতেই।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট টেংরাগিরির অংশ হওয়ায় সাগরপাড়ে সবুজের সমারোহের সঙ্গে সঙ্গে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ এখানে প্রায়ই চোখে পড়ে। ফলে পর্যটকদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে নিদ্রা সৈকতটি।
এখানে এলে পর্যটকরা একসঙ্গে পেয়ে যাবেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন টেংরাগিরি, ফাতরার চর, শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত ও নিদ্রা সৈকত।

ভ্রমণপিপাসুরা ঢাকা থেকে সড়ক পথে সরাসরি বাসে বা নিজস্ব গাড়িতে তালতলী উপজেলা হয়ে নিদ্রা সৈকতে যাওয়া যায়। আর নৌপথে বরগুনা বা আমতলীর লঞ্চে এসে ভাড়া গাড়ি বা মোটরসাইকেল করে তালতলী হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নে অবস্থিত নিদ্র্রা সৈকতে যাওয়া যাবে। তালতলী শহরের আবাসিক হোটেল ও জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে রাত কাটানো যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

অপার সম্ভাবনার নিদ্রা সমুদ্র সৈকত

আপডেট টাইম : ০৭:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একদিকে সাগর আর অন্যদিকে নদী, মাঝখানে বেড়ে ওঠা কেওড়া ও ঝাউবনে ঘেরা সবুজ এক দৃষ্টিনন্দন সৈকত ঘিরে চলে দিবানিশি জোয়ার-ভাটার খেলা। সৈকত সৌন্দর্যে এমন অপার সম্ভাবনাময় সৈকতের নাম নিদ্রা।

বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নে এর অবস্থান। পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর মিলনস্থল এটি।

স্থানটির বৈচিত্র্য বাড়িয়ে তুলেছে জোয়ার-ভাটা আর ঢেউয়ে সবুজ গালিচাময় বিস্তৃর্ণ ঘাস আর শ্বাসমূল। চারপাশে ছোট ছোট গর্ত আর তারই মাঝে জোয়ার ভাটার পানি দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। নদী অববাহিকার নোনা পানিতে সৃষ্টি হয়েছে প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা বেলাভূমি; যা সবসময় সাগরের মুক্ত বাতাস এবং চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পর্যটকদের আকর্ষণ করে চলেছে। কেউ একবার নিদ্রা গেলে মনে রাখবেন সারাজীবন।

এ চরের লাগোয়া আরেকটি মুগ্ধকর স্থান হচ্ছে শুভসন্ধ্যা সৈকত; যা পর্যটকদের কাছে একটি বাড়তি আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জোছনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এ সৈকতেই।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট টেংরাগিরির অংশ হওয়ায় সাগরপাড়ে সবুজের সমারোহের সঙ্গে সঙ্গে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ এখানে প্রায়ই চোখে পড়ে। ফলে পর্যটকদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে নিদ্রা সৈকতটি।
এখানে এলে পর্যটকরা একসঙ্গে পেয়ে যাবেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন টেংরাগিরি, ফাতরার চর, শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত ও নিদ্রা সৈকত।

ভ্রমণপিপাসুরা ঢাকা থেকে সড়ক পথে সরাসরি বাসে বা নিজস্ব গাড়িতে তালতলী উপজেলা হয়ে নিদ্রা সৈকতে যাওয়া যায়। আর নৌপথে বরগুনা বা আমতলীর লঞ্চে এসে ভাড়া গাড়ি বা মোটরসাইকেল করে তালতলী হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নে অবস্থিত নিদ্র্রা সৈকতে যাওয়া যাবে। তালতলী শহরের আবাসিক হোটেল ও জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে রাত কাটানো যাবে।