ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাত কারণ প্রতিদিনের খাবারে দারুচিনি না রাখলে ভুল করবেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • ১২৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাবারের স্বাদ বাড়াতে আমরা বিভিন্ন রকম মশলা ব্যবহার করে থাকি। তারমধ্যে দারুচিনি অন্যতম। বহু যুগ ধরেই দারুচিনির গুণের কথা প্রচলিত। এটি কেবল সুস্বাদু মশলা হিসেবেই খ্যাত নয়, নানান রোগবালাই থেকে মুক্তি দিতেও পারদর্শী।

ইদানীং চিকিৎসাবিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে দারুচিনি খাওয়ার নানা উপকারের কথা। দুই ধরনের দারুচিনি পাওয়া যায় বাজারে। ক্যাসিয়া এবং সিলন। সিলনের দারুচিনির পুষ্টিগুণ বেশি বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু যেকোনো ধরনের দারুচিনিরই বিশেষ গুণ রয়েছে। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কেন প্রতিদিনের খাবারে আমাদের দারুচিনি রাখা উচিত-

হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়

টাইপ টু ডায়াবেটিস যাদের রয়েছে, প্রত্যেকদিন আধা চা চামচ করে দারুচিনি খাওয়ায় তারা উপকৃত হয়েছেন বলে দেখা গিয়েছে সমীক্ষায়। ট্রাইগ্লিসারাইড বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে দারুচিনিতে।

প্রদাহ কমায়

শরীরে যেকোনো রকম প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মশলায়। কোনো টিস্যুর ক্ষতি হলে বা শরীরে কোথাও আঘাত পেলে লাভ হতে পারে দারুচিনি খেলে।

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে

২৬ রকমের মশলার মধ্যে দেখা গিয়েছে দারুচিনিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সবচেয়ে বেশি। রোজ খেলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি উজ্জ্বল হবে আপনার ত্বকও।

মেদ ঝরাতে সাহায্য করে

মেদ ঝরানোর চেষ্টা করছেন? রোজ সকালে স্মুদির মধ্যে এক চিমটে দারুচিনি গুঁড়া ফেলে দিন। এটা শরীরের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শরীরচর্চার পর যদি কোনো রকম প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তার মধ্যেও দিতে পারেন এই গুঁড়া।

ইনসুলিন হরমোনের কাজে সাহায্য করে

টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো কোনো রোগ থাকলে শরীর ইনসুলিম হরমোনের সঙ্গে ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারে না। সেই কাজে সাহায্য করে দারুচিনি।

রক্তে শর্করা মাত্রা কমায়

দুই চা চামচ মতো দারুচিনি প্রত্যেকদিন খেলে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে দারুচিনি। ফাস্টিং সুগারের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২৯ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে প্রত্যেকদিন এই মশলা খেলে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা এবং এই রোগের ঝুঁকি কমানোর পেছনে কতটা কার্যকর দারুচিনি, তা নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে। ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ যাতে শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে, তার পেছনে দারুচিনির কতটা অবদান রয়েছে, তা নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে এক গবেষণায়। দেখা গিয়েছে অন্ত্রের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রোগ ছড়ানো আটকাতে সক্ষম দারুচিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাত কারণ প্রতিদিনের খাবারে দারুচিনি না রাখলে ভুল করবেন

আপডেট টাইম : ১০:০২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাবারের স্বাদ বাড়াতে আমরা বিভিন্ন রকম মশলা ব্যবহার করে থাকি। তারমধ্যে দারুচিনি অন্যতম। বহু যুগ ধরেই দারুচিনির গুণের কথা প্রচলিত। এটি কেবল সুস্বাদু মশলা হিসেবেই খ্যাত নয়, নানান রোগবালাই থেকে মুক্তি দিতেও পারদর্শী।

ইদানীং চিকিৎসাবিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে দারুচিনি খাওয়ার নানা উপকারের কথা। দুই ধরনের দারুচিনি পাওয়া যায় বাজারে। ক্যাসিয়া এবং সিলন। সিলনের দারুচিনির পুষ্টিগুণ বেশি বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু যেকোনো ধরনের দারুচিনিরই বিশেষ গুণ রয়েছে। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কেন প্রতিদিনের খাবারে আমাদের দারুচিনি রাখা উচিত-

হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়

টাইপ টু ডায়াবেটিস যাদের রয়েছে, প্রত্যেকদিন আধা চা চামচ করে দারুচিনি খাওয়ায় তারা উপকৃত হয়েছেন বলে দেখা গিয়েছে সমীক্ষায়। ট্রাইগ্লিসারাইড বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে দারুচিনিতে।

প্রদাহ কমায়

শরীরে যেকোনো রকম প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মশলায়। কোনো টিস্যুর ক্ষতি হলে বা শরীরে কোথাও আঘাত পেলে লাভ হতে পারে দারুচিনি খেলে।

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে

২৬ রকমের মশলার মধ্যে দেখা গিয়েছে দারুচিনিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সবচেয়ে বেশি। রোজ খেলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি উজ্জ্বল হবে আপনার ত্বকও।

মেদ ঝরাতে সাহায্য করে

মেদ ঝরানোর চেষ্টা করছেন? রোজ সকালে স্মুদির মধ্যে এক চিমটে দারুচিনি গুঁড়া ফেলে দিন। এটা শরীরের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শরীরচর্চার পর যদি কোনো রকম প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তার মধ্যেও দিতে পারেন এই গুঁড়া।

ইনসুলিন হরমোনের কাজে সাহায্য করে

টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো কোনো রোগ থাকলে শরীর ইনসুলিম হরমোনের সঙ্গে ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারে না। সেই কাজে সাহায্য করে দারুচিনি।

রক্তে শর্করা মাত্রা কমায়

দুই চা চামচ মতো দারুচিনি প্রত্যেকদিন খেলে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে দারুচিনি। ফাস্টিং সুগারের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২৯ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে প্রত্যেকদিন এই মশলা খেলে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা এবং এই রোগের ঝুঁকি কমানোর পেছনে কতটা কার্যকর দারুচিনি, তা নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে। ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ যাতে শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে, তার পেছনে দারুচিনির কতটা অবদান রয়েছে, তা নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে এক গবেষণায়। দেখা গিয়েছে অন্ত্রের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রোগ ছড়ানো আটকাতে সক্ষম দারুচিনি।