অবশেষে লন্ডনবাসী প্রমান করে দিলো পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খানের কাছেই আগামী চার বছরের জন্যে লন্ডন হবে বেশি নিরাপদ। মুসলিম হলেই উগ্রপন্থীদের সাথে যোগসূত্র এমন ধারণা ভুল প্রমানিত করেছে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক কসমোপলিটন শহর লন্ডন।
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনসহ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গোল্ডস্মিথ নির্বাচনী প্রচারণায় সাদিক খানকে একজন উগ্রপন্থী আখ্যায়িত করে বলেছিলেন,তাঁর হাতে লন্ডন কখনো নিরাপদ হতে পারে না। কনজারভেটিভ দলের এমন আচরণের জবাবে সাদিক বলছেন, ‘এটা যুক্তরাষ্ট্র নয়, লন্ডন। এই শহরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি মানুষ গ্রহণ করবে না।’
সত্যিই হয়েছে তাই।মুসলিম পরিচয়কে হাতিয়ার করে যে প্রপাগাণ্ডা চালিয়েছিল বহুসংস্কৃতির তীর্থস্থান লন্ডন নগরী তা নাকচ করে দিয়েছে। মুসলিম মানেই উগ্রপন্থীদের সাথে যোগসূত্র এমন ভাবনাটি সঠিক নয় এই বিশ্বাসটুকু লন্ডনবাসীদের হয়েছে। রাজনৈতিক ভাবে খোদ কনজারভেটিভ পার্টিতেই এই নিয়ে বিপুল সমালোচনা হয়েছে।
নির্বাচনে সাদিক পেয়েছেন ১৩ লাখ ১০ হাজার ১৪৩ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোল্ডস্মিথ পেয়েছেন ৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬১৪ ভোট।ভোটের ব্যবধান ১৩ শতাংশ।
মুসলিম পরিচয়কে সামনে এনে নেতিবাচক প্রচারণাই ভুমেরাং হয়েছে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী গোল্ডস্মিথ এর জন্যে এমন ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই নির্বাচনে। মুসলিম, উগ্রপন্থী এবং সাদিক খান এই শব্দগুলি দিয়ে নির্বাচনে এর কোন প্রভাব তৈরি করতে পারেনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গোল্ডস্মিথ। মুসলিম বিরোধীদের জন্যে এটি একটি শিক্ষা হয়ে থাকলো।
তবে যে কারণেই হোক মুসলিম পরিচয়ই বিশ্ব মিডিয়ায় স্থান পেয়েছে গুরুত্ব সহকারে। `লন্ডনে প্রথম মুসলিম মেয়র` এইটিই ছিল বিশ্ব সংবাদের শিরোনাম। গোল্ডস্মিথ জয়ী হলে ধর্মীয় পরিচয়ে শিরোনাম হতো কি? সাদিক খান`রা জয়ী হলেই ধর্মীয় পরিচয় প্রাধান্য পায়।