ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দুর্ভোগ বাড়ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
  • ১২৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপর স্থিতিশীল থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানি স্থায়ী হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে বানভাসীদের। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত হয়ে পড়া ঘর-বাড়ি ও নৌকায় অবস্থান করা মানুষজন। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সঙ্কটে পড়েছেন তারা।

এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় তীব্র হয়ে উঠছে গবাদি পশুর খাদ্য সঙ্কটও।

সরকারি-বেসরকারিভাবে জেলায় ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকই।

সদর উপজেলার ভগবতীপুর চরের আমেনা বেগম জানান, চুলা জ্বালাতে পারছি না। ঘরের সবকিছু তলিয়ে আছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন জানান, বন্যার পানিতে ঘর-বাড়ি তলিয়ে থাকায় নিজেরা তো কষ্টে আছি। গরু ছাগলের খাবারও জোগাড় করতে পারছি না।

সদরের ধরলা সেতু এলাকার সওদাগার পাড়ার বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন বন্যা কবলিত মানুষেরা অভিযোগ করেন, কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি দিন যাপন করলেও এখনও কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি বেসরকারীভাবেও কিছু এলাকায় সামান্য ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নে ৪০০ শুকনা খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি কুড়িগ্রাম শাখার পক্ষ থেকে সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ভগবতীপুর এলাকায় ৩০০ পরিবারের মধ্যে ১ কার্টুন করে বিস্কুট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাধ্যমত বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ৯ উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৩৩৮ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শিশু খাদ্য ও ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা গো-খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই খাদ্য ও টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপর কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দুর্ভোগ বাড়ছে

আপডেট টাইম : ১১:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপর স্থিতিশীল থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানি স্থায়ী হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে বানভাসীদের। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত হয়ে পড়া ঘর-বাড়ি ও নৌকায় অবস্থান করা মানুষজন। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সঙ্কটে পড়েছেন তারা।

এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় তীব্র হয়ে উঠছে গবাদি পশুর খাদ্য সঙ্কটও।

সরকারি-বেসরকারিভাবে জেলায় ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকই।

সদর উপজেলার ভগবতীপুর চরের আমেনা বেগম জানান, চুলা জ্বালাতে পারছি না। ঘরের সবকিছু তলিয়ে আছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন জানান, বন্যার পানিতে ঘর-বাড়ি তলিয়ে থাকায় নিজেরা তো কষ্টে আছি। গরু ছাগলের খাবারও জোগাড় করতে পারছি না।

সদরের ধরলা সেতু এলাকার সওদাগার পাড়ার বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন বন্যা কবলিত মানুষেরা অভিযোগ করেন, কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি দিন যাপন করলেও এখনও কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি বেসরকারীভাবেও কিছু এলাকায় সামান্য ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নে ৪০০ শুকনা খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি কুড়িগ্রাম শাখার পক্ষ থেকে সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ভগবতীপুর এলাকায় ৩০০ পরিবারের মধ্যে ১ কার্টুন করে বিস্কুট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাধ্যমত বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ৯ উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৩৩৮ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শিশু খাদ্য ও ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা গো-খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই খাদ্য ও টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপর কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।