হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি বছরের ৭ এপ্রিল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের স্থায়ী সমাধানে ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন।
শর্তগুলো প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রকল্পটি চুড়ান্ত অনুমোদন পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৪০ কিলোমিটার নদী খনন, ৭৮ কিলোমিটার বাঁধ মেরামত, ১২ কিলোমিটার জুড়ে ব্লক স্থাপন, ফ্লাড বাইপাস, ৯৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ। প্রকল্পের ৫০ শতাংশ অর্থ খরচ হবে জমি অধিগ্রহণে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আক্তার হোসেন মজুমদার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সহসা টেকসই বাঁধ নির্মাণে স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় যেসব শর্ত পূরণ করে প্রকল্পটি পাঠাতে বলেছে তা সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সময় লাগবে। যে কারণে প্রকল্পটি সহসা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া যাবে না।
আক্তার হোসেন বলেন, বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রধানত মুহুরী ও কহুয়া নদীতে ৪২ কিলোমিটার খনন করতে হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের বন্যায় ২২ জায়গায় বাঁধ ভেঙ্গে যায়। তখন বাঁধ মেরামতে প্রায় ২শ’ ৪৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়। ২০১৯ সালের বন্যায় ১৫ জায়গায় বাঁধ ভেঙ্গে যায়। সেসময় মেরামতে প্রায় ১শ’ ৭৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়। ২০২০ সালের জুলাই মাসেও বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যায়। তখন দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ৭শ মিটার বাঁধ মেরামত করা হয়।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জানান, ৭০-৮০ দশকে স্থানীয় চেয়ারম্যানেরা খাদ্যের বিনিময় কর্মসূচি দিয়ে এ বাধঁ নির্মাণ করেন। যার কারণে বাঁধ টেকসই হয়নি। যার ফলে প্রতি বছর বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে তা ভেঙ্গে যায়। টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হলে ২০ বছরেও বাধেঁর কিছু হবে না। টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য প্রথমে নদী খনন করতে হবে ও নদীর বাঁকে প্রতিরক্ষার জন্য ব্লক স্থাপন করতে হবে।