হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিলেট ও সুনামগঞ্জের কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও অন্য জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দুর্গত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা কম। মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠলেও খাবার ও পানির তীব্র সংকট।
সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। আশ্রয়কেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বন্যার্তদের জন্য এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, অনেক স্বেচ্ছাসেবী। তাদের মধ্যেই একজন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
হবিগঞ্জের বাসিন্দা এবং পেশায় আইনজীবী হলেও সিলেট অঞ্চলে তার পরিচয় একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবেই। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য তিনি তাঁর ফেসবুকে পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে আহ্বান জানান।
তাঁর এই মহৎ আহ্বানে সাড়া পড়েছে ব্যাপক। এরই মধ্যে ৫২ লাখ টাকা বন্যার্তদের জন্য তার তহবিলে এসেছে। আরো ১৮ লাখ টাকা আসছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। এই টাকা পেয়ে তিনি চলে গেছেন সিলেট ও সুনামগঞ্জের দুর্গত এলাকায়। তাঁর সঙ্গে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী, খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বানভাসিদের কাছে।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের জন্য পরশু দিন (শনিবার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) লাইভ করে তাদের জন্য সহযোগিতা কামনা করি। দেশে-বিদেশে সবার কাছে এই আহ্বান জানিয়ে বলেছিলাম, আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমি বন্যার্তদের কাছে যেতে চাই। ’
এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এক দিনের মধ্যে ৭০ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর মধ্যে প্রায় ৫২ লাখ টাকা এসে পৌঁছেছে। বাকি ১৮ লাখ টাকাও আসার পথে বলে জানান সুমন।
তিনি বলেন, ‘লোকজনের এই আস্থা ও বিশ্বাসে আমার আরো দায়িত্ব বেড়ে গেছে। মানুষ আমাকে এভাবে বিশ্বাস করে তা কল্পনায়ও ছিল না। মানুষের এই বিশ্বাস আমার জীবনের পরম পাওয়া। মানুষের এই বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে আমি যথাযথভাবে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করব। ’