হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বন্যার পানিতে নিখোঁজ সাত জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
সোমবার (২০ জুন) সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সিলেট সদরে তিন জন, সুনামগঞ্জের ছাতকে তিন জন ও মৌলভীবাজারে একজন রয়েছেন।
সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রভাষক সেলিম আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আবুল কাশেম তার পরিবারের সঙ্গে মদীনা মার্কেট এলাকায় বসবাস করেন। বন্যার পানি বাড়ায় বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের বাড়ি থেকে দাদি ও চাচাতো বোনদের নিয়ে আসতে যান তিনি। ফেরার পথে সুজাতপুর আইডিয়াল স্কুল এলাকায় তাদের নৌকাটি যুবে যায়। এসময় তার চাচাতো দুই বোন উল্টে যাওয়া নৌকা ধরে প্রাণে বাঁচলেও দাদি-নাতি নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার দাদি ছুরেতুন নেছার লাশ ভেসে ওঠে। এছাড়া, গতকাল রোববার সকালে আবুল কাশেমের লাশ একই জায়গায় ভেসে উঠে। সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে কুমারগাঁও এলাকায় তাদের দাফন করা হয়।
এদিকে, কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নলকট গ্রামে গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বন্যার পানির আব্দুল হাদি (১৮) নামে এক তরুণ ভেসে যান। গতকাল রোববার তার বাড়ির পাশে লাশ ভেসে উঠে। হাদি নলকট গ্রামের প্রবাসী কাছা মিয়ার ছেলে।
নলকট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক মামুন লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে ছাতক পৌরসভার কানাখালি রোডের আখড়া এলাকায় পিযুষ (৪০) ও ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর এলাকার জুনেদ (২৭) পানিতে ডুবে মারা যান। জুনেদ গত শনিবার ছাতক থেকে বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। গতকাল রোববার তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, সুনামগঞ্জের ছাতকের জাউয়া বাজার থেকে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী হানিফা বেগমের (৯) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে পার্শ্ববর্তী কাইতকোনা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত হানিফা বেগম শান্তিগঞ্জ উপজেলার বড়মোহা গ্রামের মৃত জিলু মিয়ার কন্যা। মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে যায় সে।
নিহতের মামা ছফেদ আলী পীর তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বন্যার পানিতে ডুবে সুমাইয়া (৯) নামের এক শিশু মারা গেছে। রোববার বিকেলে পৌরসভার আদিত্যের মহাল এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুপুরে বন্যার পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয় সুমাইয়া। সে গাজিটেকা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের মেয়ে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চত করেন।