ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শনিবার রাইত থাইক্যা খাওয়া নাই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২
  • ১২৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কয়েক দিনের অব্যাহত বর্ষণ ও উজান থেকে নামা কুশিয়ারা নদীর পানিতে হবিগঞ্জের ৪টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা বন্যা কবলিত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠলেও অনেকে বলছেন সেখানে প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা সরকারি ত্রাণ পর্যাপ্ত নয়।

এদিকে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকার চার হাজার হেক্টর আউশ আমন, ১৪ হাজার হেক্টর বোনা আমন এবং ৬৫০ হেক্টর সবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।

রোববার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বন্যা দুর্গতরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছেন। আজমিরীগঞ্জ কলেজে আশ্রয় নিয়েছে ২০০টি পরিবার। সেখানে থাকা রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘নিজের জানটা লইয়া আইতাম পারছি, শনিবার রাইত থাইক্যা খাওয়া নাই, বাড়ি-ঘর পানির তলে, পানি না কমলে বিপদ আরও বাড়বো’।

পিটুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিজগিজ করছিল লোকজন। কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, ‘বাড়িত থাইক্কা কিচ্ছু আনতে পারি নাই, আমরারে সাহায্য না করলে না খাইয়া থাকতে অইব’।

এদিকে, রোববার হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজ হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমীসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত ৩ শতাধিক মানুষের মধ্যে চাল, ডাল, চিড়া, তেল ও পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শনিবার রাইত থাইক্যা খাওয়া নাই

আপডেট টাইম : ১১:০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কয়েক দিনের অব্যাহত বর্ষণ ও উজান থেকে নামা কুশিয়ারা নদীর পানিতে হবিগঞ্জের ৪টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা বন্যা কবলিত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠলেও অনেকে বলছেন সেখানে প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা সরকারি ত্রাণ পর্যাপ্ত নয়।

এদিকে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকার চার হাজার হেক্টর আউশ আমন, ১৪ হাজার হেক্টর বোনা আমন এবং ৬৫০ হেক্টর সবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।

রোববার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বন্যা দুর্গতরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছেন। আজমিরীগঞ্জ কলেজে আশ্রয় নিয়েছে ২০০টি পরিবার। সেখানে থাকা রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘নিজের জানটা লইয়া আইতাম পারছি, শনিবার রাইত থাইক্যা খাওয়া নাই, বাড়ি-ঘর পানির তলে, পানি না কমলে বিপদ আরও বাড়বো’।

পিটুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিজগিজ করছিল লোকজন। কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, ‘বাড়িত থাইক্কা কিচ্ছু আনতে পারি নাই, আমরারে সাহায্য না করলে না খাইয়া থাকতে অইব’।

এদিকে, রোববার হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজ হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমীসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত ৩ শতাধিক মানুষের মধ্যে চাল, ডাল, চিড়া, তেল ও পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন।