ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশুদ্ধ পানির সংকটে বানভাসি মানুষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৪:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
  • ১১৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

রোববার (১৯ জুন) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে দুটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, গত ৫ দিন ধরে পানিবন্দি থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার ৯ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চলের বন্যাকবলিতরা নৌকা ও ঘরের উঁচু করা মাচানে বসবাস করলেও খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন তারা। অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি ছেড়ে পাকা সড়ক ও উঁচু বাধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। শিশু ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও দুর্ভোগে পড়েছে নতারা।

কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা সেতু এলাকায় পাকা সড়কের ধারে আশ্রয় নেওয়া আমেনা বেগম বলেন, ঘরের ভেতর পানি ঢুকে চৌকি তলিয়ে গেছে। থাকার মতো অবস্থা না থাকায় ছেলে মেয়ে নিয়ে রাস্তায় এসে উঠেছি।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের পারবতীপুর চরের মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘরের সবকিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। নিকটবর্তী কোনো উঁচু জায়গা না থাকায় নৌকায় অবস্থান নিয়ে দিন পার করছি। ঠিক মতো রান্না করতে না পারায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক জানান, বর্নাতদের জন্য ২৯৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১১ লাখ টাকা, এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৭ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ১৯ লাখ টাকার গো-খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং তা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশুদ্ধ পানির সংকটে বানভাসি মানুষ

আপডেট টাইম : ১০:২৪:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

রোববার (১৯ জুন) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে দুটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, গত ৫ দিন ধরে পানিবন্দি থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার ৯ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চলের বন্যাকবলিতরা নৌকা ও ঘরের উঁচু করা মাচানে বসবাস করলেও খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন তারা। অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি ছেড়ে পাকা সড়ক ও উঁচু বাধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। শিশু ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও দুর্ভোগে পড়েছে নতারা।

কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা সেতু এলাকায় পাকা সড়কের ধারে আশ্রয় নেওয়া আমেনা বেগম বলেন, ঘরের ভেতর পানি ঢুকে চৌকি তলিয়ে গেছে। থাকার মতো অবস্থা না থাকায় ছেলে মেয়ে নিয়ে রাস্তায় এসে উঠেছি।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের পারবতীপুর চরের মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘরের সবকিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। নিকটবর্তী কোনো উঁচু জায়গা না থাকায় নৌকায় অবস্থান নিয়ে দিন পার করছি। ঠিক মতো রান্না করতে না পারায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক জানান, বর্নাতদের জন্য ২৯৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১১ লাখ টাকা, এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৭ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ১৯ লাখ টাকার গো-খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং তা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।