ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস আজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৩:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • ১২২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রক্ত দিন, বাঁচান একটি প্রাণ- স্বেচ্ছায় রক্তদান অত্যন্ত মহৎ কাজ। চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে রক্তের হয় প্রয়োজন হয়। সময়ে রক্ত এতই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে যে, এছাড়া রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস আজ। যারা জীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন তাদের উৎসাহ দিতেই দিবসটির সূচনা। ২০০৪ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়েছিল। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে ১৮২ টি দেশ সম্পৃক্ত হয়েছে এ আন্দোলনে। বাংলাদেশেও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হচ্ছে।

এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনটির স্লোগান নির্ধারণ করেছে ‌‘ডোনেটিং ব্লাড ইজ অ্যান অ্যাক্ট অব সোলিডারিটি, জয়েন দ্য ইফোর্ট অ্যান্ড সেভ লাইভ’ অর্থাৎ রক্তদান একটি সম্মিলিত প্রয়াস, এই প্রয়াসে সংযুক্ত হন, রক্তদান করুন ও জীবন বাঁচান।

আবহমানকাল ধরে মানবদেহের জন্য রক্তদান এবং রক্ত গ্রহণের ব্যবহার চলছে। রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকেও অত্যন্ত পুণ্য বা সওয়াবের কাজ। বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় রক্তদাতার সংখ্যা এখনো নগণ্য। প্রাপ্ত এক হিসাবে দেশে বছরে ৮ থেকে ৯ লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ। এ ছাড়া সংগ্রহকৃত রক্তের মাত্র ৩০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের থেকে। নিজের পরিবারের সদস্য বা পরিচিতজন না হলে এখনো বেশির ভাগ মানুষ রক্তের জন্য নির্ভর করেন পেশাদার রক্তদাতার ওপর। রক্তের অভাবের কারণে প্রতিবছর বহু রোগীর প্রাণ সংকটের মুখে পড়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বের ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে থাকে। তবে উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছায় রক্তদানের হার প্রতি এক হাজারে ৪০ জন হলেও উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি এক হাজারে চারজনেরও কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, দেশে অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসায় প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৯ লাখ ব্যাগ রক্ত লাগে। সারা দেশে সরকারিভাবে ২২৩টি ব্লাড ব্যাংক বা রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র রয়েছে।

এছাড়াও দেশে গত তিন বছরে বিভাগ ও জেলার সরকারি হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রে (ব্লাড ব্যাংক) ২৩ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৭ জন স্বেচ্ছায় রক্তদাতার রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয়েছে।

দিবসটি উদযাপনে সরকারি-বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সকাল ১০টায় জাতীয় জাদুঘর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত পথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। রক্তদাতাদের সম্মাননা জানানো হবে।

এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন, রক্তদানে উৎসাহ করতে দাতাদের সৌজন্য উপহার ও থেলাসেমিয়া রোগীদের বিনামূল্যে রক্তদান করা হবে। বিএসএমএমউতে ট্রান্সফিউশন বিভাগের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা, থেলাসেমিয়া আক্রান্তদের বিনামূল্যে রক্ত দান ও উন্মুক্ত সেমিনার হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস আজ

আপডেট টাইম : ১১:৫৩:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রক্ত দিন, বাঁচান একটি প্রাণ- স্বেচ্ছায় রক্তদান অত্যন্ত মহৎ কাজ। চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে রক্তের হয় প্রয়োজন হয়। সময়ে রক্ত এতই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে যে, এছাড়া রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস আজ। যারা জীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন তাদের উৎসাহ দিতেই দিবসটির সূচনা। ২০০৪ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়েছিল। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে ১৮২ টি দেশ সম্পৃক্ত হয়েছে এ আন্দোলনে। বাংলাদেশেও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হচ্ছে।

এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনটির স্লোগান নির্ধারণ করেছে ‌‘ডোনেটিং ব্লাড ইজ অ্যান অ্যাক্ট অব সোলিডারিটি, জয়েন দ্য ইফোর্ট অ্যান্ড সেভ লাইভ’ অর্থাৎ রক্তদান একটি সম্মিলিত প্রয়াস, এই প্রয়াসে সংযুক্ত হন, রক্তদান করুন ও জীবন বাঁচান।

আবহমানকাল ধরে মানবদেহের জন্য রক্তদান এবং রক্ত গ্রহণের ব্যবহার চলছে। রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকেও অত্যন্ত পুণ্য বা সওয়াবের কাজ। বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় রক্তদাতার সংখ্যা এখনো নগণ্য। প্রাপ্ত এক হিসাবে দেশে বছরে ৮ থেকে ৯ লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ। এ ছাড়া সংগ্রহকৃত রক্তের মাত্র ৩০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের থেকে। নিজের পরিবারের সদস্য বা পরিচিতজন না হলে এখনো বেশির ভাগ মানুষ রক্তের জন্য নির্ভর করেন পেশাদার রক্তদাতার ওপর। রক্তের অভাবের কারণে প্রতিবছর বহু রোগীর প্রাণ সংকটের মুখে পড়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বের ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে থাকে। তবে উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছায় রক্তদানের হার প্রতি এক হাজারে ৪০ জন হলেও উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি এক হাজারে চারজনেরও কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, দেশে অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসায় প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৯ লাখ ব্যাগ রক্ত লাগে। সারা দেশে সরকারিভাবে ২২৩টি ব্লাড ব্যাংক বা রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র রয়েছে।

এছাড়াও দেশে গত তিন বছরে বিভাগ ও জেলার সরকারি হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রে (ব্লাড ব্যাংক) ২৩ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৭ জন স্বেচ্ছায় রক্তদাতার রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয়েছে।

দিবসটি উদযাপনে সরকারি-বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সকাল ১০টায় জাতীয় জাদুঘর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত পথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। রক্তদাতাদের সম্মাননা জানানো হবে।

এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন, রক্তদানে উৎসাহ করতে দাতাদের সৌজন্য উপহার ও থেলাসেমিয়া রোগীদের বিনামূল্যে রক্তদান করা হবে। বিএসএমএমউতে ট্রান্সফিউশন বিভাগের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা, থেলাসেমিয়া আক্রান্তদের বিনামূল্যে রক্ত দান ও উন্মুক্ত সেমিনার হবে।