হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চট্টগ্রামে কোরবানির পশু আসা শুরু হয়েছে। অনলাইন এবং বিভিন্নভাবে গরু বেচাকেনাও চলছে।
চট্টগ্রামে এবার কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫০১টি। মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও কোরবানিকে টার্গেট করে বিভিন্ন স্থান থেকে পশু এনে পালন করেছেন।
সোমবার (১২ জুন) বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামে আট লাখ ২১ হাজার পশু কোরবানি দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম মহানগরী ও ১৫ উপজেলার মধ্যে এসব পশু কোরবানি করা হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা এবং নগরীর খামারগুলোতে কোরবানিযোগ্য পশু আছে সাত লাখ ৯১ হাজার ৫০১টি। সে হিসেবে ঘাটতি রয়েছে ২৯ হাজার ৫৯৯টি পশু। এবার কোরবানিতে চট্টগ্রামে পশুর সংকট হবে না।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে এবার কোরবানিতে গরু পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৩টি, মহিষ ৬৬ হাজার ২৩৭টি, ছাগল ও ভেড়া এক লাখ ৮৯ হাজার ৬২টি এবং অন্যান্য ৯৯টি পশু রয়েছে। ২০২১ সালে সাত লাখ ৪২ হাজার ৪৫৫টি পশু জবাই করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় সাত লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৪টি পশু। ২০২০ সালে সাত লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৬টি পশু জবাই করা হয়। ওই বছর স্থানীয়ভাবে ছয় লাখ ৮৯ হাজার ২২টি পশু উৎপাদিত হয়েছিল।
মীরসরাই উপজেলায় ৫৭ হাজার ৬৮০টি, সীতাকুণ্ডে ৪৪ হাজার ২৪৮টি, সন্দ্বীপে ৬৯ হাজার ২২৩টি, ফটিকছড়িতে ৫১ হাজার ২৩৫টি, রাউজানে ৩৮ হাজার ৬৩৫টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৪৫ হাজার ৮১৮টি, হাটহাজারীতে ৪৪ হাজার ৬৪৬টি, বোয়ালখালীতে ৪৮ হাজার ১৩৩টি, পটিয়ায় ৭২ হাজার ৩১৭টি, চন্দনাইশে ৪০ হাজার ৮৫৪টি, আনোয়ারায় ৬৩ হাজার ৬৬৬টি, সাতকানিয়ায় ৪২ হাজার ১৬৯টি, লোহাগাড়ায় ৪৩ হাজার ৯৭৮টি, বাঁশখালীতে ৪১ হাজার ৭৮৩টি, কর্ণফুলীতে ৫৪ হাজার ৯৭৯টি, কোতোয়ালীতে চার হাজার ৭০২টি, ডবলমুরিংয়ে ৯ হাজার ১৬৭টি, পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ১৮ হাজার ২৫০টি কোরবানির বিক্রিযোগ্য পশু আছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই এবারের কোরবানির চাহিদা মিটবে। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও ব্যবসায়ীরা পশু আনতে শুরু করেছেন। মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও কোরবানকে টার্গেট করে পশু পালন করেছেন। এ কারণে চট্টগ্রামে এবার কোরবানিতে পশুর সংকট হবে না।