হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনেক নারী ও পুরুষ হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগেন। তবে এই তালিকায় পুরুষদের চাইতে নারীদের সংখ্যা বেশি। নারীদের হরমোনের তারতম্যের সমস্যা ভীষণ ভাবেই দেখা যায়। এর ফলে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
যেহেতু শরীরের সুস্থতা ও মনের সুখ সবটাই নির্ভর করে আছে হরমোনের উপরই। তাই শরীর ভালো রাখতে শরীরে হরমোনের সমতা থাকা ভীষণ জরুরি। আচমকাই ওজন বৃদ্ধি, ঘন ঘন মেজাজ বিগড়ে যাওয়া কিংবা অত্যন্ত ক্লান্তি ভাব কিন্তু হরমোনের তারতম্যের লক্ষণ হতে পারে। চুল পড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা, ব্রণ ইত্যাদির কারণও হতে পারে শরীরে হরমোনের সমতার অভাব। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা উপেক্ষা করে ভুল করে থাকেন অনেকে।
থাইরয়েড, লিভারের সমস্যা, খাদ্যাভাসে অনিয়ম ইত্যদি নানা কারণে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। ডায়েটে পুষ্টিকর খাদ্য রাখলেই এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই মিলতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক খাদ্যাভাসে কোন কোন পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব-
খাদ্যতালিকায় যত রঙিন সবজি ও ফল রাখতে পারবেন, এই সমস্যা ততই এড়ানো যাবে। রোজের ডায়েটে বিট, তরমুজ, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, বাঁধাকপি, পালংশাক ইত্যাদি রাখুন।
শরীরের কর্মদক্ষতা বাড়াতে ভালো ফ্যাটেরও প্রয়োজন। ফ্যাট থেকেই হরমোন উৎপাদিত হয়। রোজের খাদ্যতালিকায় অন্তত কোনো এক ধরনের ভালো ফ্যাট রাখলে আপনার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। ঘি, কাঠবাদাম, ডিমের কুসুম, দই- ভালো ফ্যাটের দারুণ উৎস।
খাবারে চিনির পরিমাণ কমাতে হবে। বেশি মাত্রায় চিনি খেলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে লেপটিন নামক হরমোনের উৎপাদন কমে যায়। এর ফলে ওজন বাড়ে। শরীরের চারপাশে মেদ জমতে থাকে।
লিভার সুস্থ থাকলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যও ঠিক থাকে। লিভার সুস্থ রাখার জন্য পুষ্টিবিদরা ডায়েটে ‘ডিটক্স ড্রিঙ্ক’ রাখার পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে খেতে পারেন বিভিন্ন প্রকার ভেষজ চা, যা শরীরে জমা ‘টক্সিন’ বাইরে বার করে দিয়ে শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।