হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাড়ির ছাদের যেদিকে চোখ যায় শুধু গাছ আর গাছ। দৃষ্টিনন্দন ছাদ বাগানে দেশি-বিদেশি আড়াইশ প্রজাতির ফল গাছ রয়েছে। যে কেউ দেখলে মনে যেমন প্রশান্তি পাবেন তেমনি চোখ জুড়িয়ে যাবে। দিনাজপুর শহরের ফকিরপাড়ার নতুনপাড়া এলাকায় বাগানটি গড়ে তুলেছেন শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনজুরুল হক মঞ্জু। বর্তমানে তিনি জেলার খানসামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। শখের বসে প্রকৃতিকে ভালোবেসে গড়েছেন এই ছাদ ফলের বাগান। প্রত্যেকটা গাছ সংগ্রহে রয়েছে ত্যাগ, কষ্ট আর শ্রম। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদক রিয়াজুল ইসলাম-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ছাদের টবে শোভা পাচ্ছে, আন্না আপেল, পিনাট বাটার, মালবেরি, ব্ল্যাক বেরি, ব্লুবেরি, কামরাঙা, লোকট, সোলাপরি আনার, ভাগোয়া আনার, বেদানা, করমচা, অস্ট্রেলিয়ান প্রজাতির করমচা, আলু বোখারা, জামরুল, গোলাপ জাম, কালো জাম, সাদা জাম, এগফ্রুট, ক্যাটস আই ফ্রুট, অস্ট্রেলিয়ান বিচচেরি, জামাই ক্যানবেরি, থাই পেয়ারা, ভেরিকেটেড পেয়ারা, থাই মাধুরি পেয়ারা, ব্রাজিলিয়ান স্ট্রবেরি পেয়ারা, কালো আঙুর, সাদা আঙুর, ত্বিন, জয়তুন, কিইজিআই আম, গৌরমতি, বারি-৪ আম, থাই জাম্বুরা, বারি-১ মাল্টা, ওয়াশিংটন নেভাল মাল্টা, ব্লাড অরেঞ্জ মাল্টা, থাই মাল্টা, দার্জিলিং কমলা, ছাতক কমলা, নাগপুরি কমলা, পাকিস্তান কমলা, লাল ড্রাগন, গোলাপি-সাদা-হলুদ-ব্ল্যাক ড্রাগন, বিলম্বি, ভুটানি কমলা, বারি-১ কমলা, কিউই ফল, সফেদা, বল সুন্দরী কুল, শরিফা আতা, থাই পিচ ফল, থাই কদবেল, বেলি বেল, ট্যাংক ফল, ননী ফল, কাঠাঁল, আমলকি, পানিয়া ফলসহ ২৫০ প্রজাতির ফল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনজুরুল হক জানান, ৩ বছর ধরে শখের বশে নিজের পরিচর্যায় এ ফলদ বাগান গড়ে তুলেছেন। অবসরে বাগানে সময় কাটান তিনি। মনের আগ্রহ থেকেই এই বাগান। এখানে কালো আঙুরও খুব মিষ্টি হওয়ায় ফল চাষে আগ্রহ বেড়ে যায়। অনেক ফল মাটির চেয়ে ছাদের টবেই মিষ্টি হয়। তবে মাটির গাছের চেয়ে ছাদের টবে ফলের আকার ছোট হতে পারে।
তিনি আরও জানান, শহরে বসবাসরত মানুষ তাদের ভবনের ছাদে স্বল্প পরিসরে ফল ও সবজি উৎপাদন করে প্রতিদিন খেতে পারেন। এতে অতিথি আপ্যায়নসহ নিজেদের চাহিদা মিটবে পাশাপাশি বিক্রিও যে কেউ করতে পারবেন। মানুষের জীবনে প্রশান্তি ও বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগায় এই প্রকৃতি।