হাওর বার্তা ডেস্কঃ মক্কা মদিনায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় অধিকাংশ হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ফ্লাইট বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। সউদী আরবের হোটেল বাড়িগুলো এখনো সরকারি অনুমতিপত্র (তাসরিয়া) না পাওয়ায় এজেন্সির মালিকরা বাড়িভাড়া করতে পারছেন না। এদিকে হজযাত্রীদের নিয়ে যাওয়া বিশেষ ফ্লাইটে সামনের দিকের বিজনেস ক্লাসে বসতে চাইলে অতিরিক্তি ২৫০ ডলার বা প্রায় ২৩ হাজার টাকা গুনতে হবে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই পবিত্র হজ পালিত হবে। এজন্য গত ৫ জুন থেকে বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে গত দুদিনে আট শতাধিক হজযাত্রী সউদী আরবের জেদ্দায় পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ বিমানে যাওয়া এসব যাত্রীদের সবাই সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গেছেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এখনো হজে যাওয়া শুরু হয়নি। আগামীকাল থেকে তাদের ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য নির্ধারিত ফ্লাইটও রয়েছে। কিন্তু এবার সবকিছুই দেরিতে শুরু হওয়ায় এজেন্সি মালিকদের আইবিএনএ নাম্বার পেতে দেরি হয়। বর্তমানে মোয়াল্লেম চুক্তি ও বাড়ি হোটেল ভাড়া করতে বেশিরভাগ হজ এজেন্সি মালিক সউদী আরবে অবস্থান করছেন।
মোস্তাফা এয়ার ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী আবু দাউদ ফয়সাল গতকাল জানিয়েছেন, এবার মোট ৩৫৯টি এজেন্সির মাধ্যমে হজযাত্রীরা সউদী আরবে যাচ্ছেন। এর মধ্যে প্রায় তিনশ এজেন্সি মালিক বর্তমানে সউদী আরবে রয়েছেন। যারা এখন হোটেল বাড়ি ভাড়ার জন্য বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, হোটেলে গেলে তারা জানাচ্ছেন তারা এখনো হাজীদের রাখতে সউদী সরকারের অনুমতি বা তাসরিয়া পাননি। এজন্য আমরা বাড়িভাড়া করতে পারছিনা। এছাড়া রিয়ালের মূল্য নিয়েও এজেন্সি মালিকরা বিপাকে পড়েছেন বলে তিনি জানান। সরকার সউদী রিয়ালের মূল্য ২৪ টাকা ৩০ পয়সা ধরলেও তা বর্তমানে ২৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এতে এজেন্সি মালিকদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির স্বীকার হচ্ছেন এজেন্সি মালিকরা। ফলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের সউদী আরবে যেতে দেরি হতে পারে। এতে হজ ফ্লাইট বিলম্ব হয়ে ফ্লাইট বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ তাহেরা খন্দকারের পাঠানো গতকালের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনেক হজ যাত্রীদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইটগুলোর সামনের সারিতে থাকা সীমিত সংখ্যক আসনে বসার আগ্রহ ও চাহিদা দেখা যায়। তাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ সামনের সিটগুলো ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে বরাদ্দ দিচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, সম্মুখ কেবিনের আসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ থেকে শুধু যাওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১৫০ মাকিন ডলার অথবা সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা (১৩ হাজার ৫০০) এবং যাওয়া ও আসার ক্ষেত্রে (একসাথে) ২৫০ মার্কিন অথবা সমপরিমাণ টাকা (২৩ হাজার) পরিশোধ করতে হবে।