ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কনটেইনার ডিপোতে আগুন-বিস্ফোরণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২
  • ১১৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ী ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় সাড়ে ৪ শতাধিক আহত হয়েছেন।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১১টায় উপজেলার সোনাইছড়ী ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আমদানিকৃত একটি কন্টেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। শনিবার রাত্রের দুর্ঘটনায় ৪ শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়েছেন।

সূত্রে জানা যায়, কেমিক্যাল কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন লাগার পর পর কন্টেইনারগুলো একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে কন্টেইনার ডিপোর আশে পাশের ৪-৫ কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক কম্পনের সৃষ্টি হয়। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় শতাধিক বিভিন্ন বাড়ি-ঘর ও মসজিদের দরজা এ জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে  জানান, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার রাত্রের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় শনিবার রাতেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেকে) রয়েছে। রোববার আরও ২৮ জনের লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭ জন ফায়ার কর্মী রয়েছেন। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে- তাদের ৮ জন কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে মারা গেছেন।

তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০০ সদস্যের একটি টিম সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে।

এদিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন।

আগুন নেভানো ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৬টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম কাজ করছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী থেকে অফিসাররা যোগ দিয়েছেন। শনিবার রাতে শত শত আহত মানুষকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ( চমেক), চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং এসব হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কনটেইনার ডিপোতে আগুন-বিস্ফোরণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯

আপডেট টাইম : ০৬:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ী ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় সাড়ে ৪ শতাধিক আহত হয়েছেন।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১১টায় উপজেলার সোনাইছড়ী ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আমদানিকৃত একটি কন্টেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। শনিবার রাত্রের দুর্ঘটনায় ৪ শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়েছেন।

সূত্রে জানা যায়, কেমিক্যাল কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন লাগার পর পর কন্টেইনারগুলো একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে কন্টেইনার ডিপোর আশে পাশের ৪-৫ কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক কম্পনের সৃষ্টি হয়। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় শতাধিক বিভিন্ন বাড়ি-ঘর ও মসজিদের দরজা এ জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে  জানান, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার রাত্রের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় শনিবার রাতেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেকে) রয়েছে। রোববার আরও ২৮ জনের লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭ জন ফায়ার কর্মী রয়েছেন। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে- তাদের ৮ জন কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে মারা গেছেন।

তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০০ সদস্যের একটি টিম সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে।

এদিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন।

আগুন নেভানো ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৬টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম কাজ করছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী থেকে অফিসাররা যোগ দিয়েছেন। শনিবার রাতে শত শত আহত মানুষকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ( চমেক), চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং এসব হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।