অনৈতিক কাজে জোরপূর্বক বাধ্য করা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আংশিক স্বীকার করেছেন বেসরকারি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, মাহফুজ রাজধানীর পান্থপথ আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাটে শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে নানা কৌশলে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন।
নিপীড়নের শিকার ৫ শিক্ষার্থী আদালতে দেয়া তাদের জবানবন্দিতে এভাবে উল্লেখ করলেও তিনি একটু ভিন্নভাবে জবানবন্দিতে বলেছেন, শিক্ষার্থীরা তার বিভাগের ছাত্রী হওয়ায় পড়া বুঝার জন্য স্বেচ্ছায় তার ফ্ল্যাটে আসতো। তাদের সম্মতিতেই সম্পর্ক
কোনো শিক্ষার্থীকে বাধ্য করেননি তিনি।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গত ৪ মে শিক্ষক মাহফুজের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর গত ৫ মে ঢাকা সিএমএম আদালতে অনৈতিক কাজের শিকার ৫ শিক্ষার্থী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা শিক্ষক মাহফুজের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
কিন্তু শিক্ষক মাহফুজ বলেছেন, শিক্ষার্থীরা তার বিভাগের ছাত্রী হওয়ায় পড়া বোঝার জন্য তার ফ্ল্যাটে আসতো এবং তাদের সম্মতিতেই সম্পর্ক হতো। জোর করে কোনো শিক্ষার্থীকে বাধ্য করা হয়নি।
এদিকে ভিন্ন কথা বলছেন ছাত্রীরা। নিপীড়নের শিকার ৫ শিক্ষার্থী আদালতে দেয়া তাদের জবানবন্দিতে বলেছেন, রাজধানীর পান্থপথ আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাটে শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে নানা কৌশলে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন তিনি।
গত ৪ মে দিবাগত রাতে মাহফুজকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৩০ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আকস্মিক আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম।
তাৎক্ষণিক বৈঠকে বসে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহফুজকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষকের দাপটে সব মিলিয়ে যাচ্ছিল। তবে শেষ রক্ষা হলো না দাপুটে শিক্ষক মাহফুজের।