শরিফুল ইসলাম ICT4E কিশোরগঞ্জ জেলা অ্যাম্বাসেডর মনোনীত

রফিকুল ইসলামঃ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ফর এডুকেশনের (ICT4E) কিশোরগঞ্জ জেলা অ্যাম্বাসেডর মনোনীত হয়েছেন মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়নের ধলাই-বগাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) মো. শরিফুল ইসলাম (৩৬)।

শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার, গণগত শিক্ষা বাস্তবায়ন ও শিক্ষায় উদ্ভাবনী সংস্কৃতির বিকাশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) শিক্ষক বাতায়ন কর্তৃপক্ষ জেলা অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তাকে মনোনীত করে। তা শিক্ষকদের সৃজনশীলতার প্লাটফর্ম হিসেবে পরিচিত শিক্ষক বাতায়নেও প্রকাশ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারাদেশে ১৪শ দক্ষ শিক্ষককে জেলা অ্যাম্বাসেডর করেছে এটুআই। তারই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও এটুআই যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ICT4E অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মনোনীত হওয়ার জন্য যেসকল মানদণ্ড প্রয়োজন, তার মধ্যে ছয়টি মানদণ্ড অর্জিত হওয়ায় জেলা অ্যাম্বাসেডর মনোনীত হয়েছেন তিনি।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, মো. শরিফুল ইসলাম বৈশ্বিক মহামারি করোনার করুণ পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাস পরিচালনায় বিভিন্ন কন্টেন্ট এবং শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করাসহ শিক্ষা ও পেশাগত মানোন্নয়নে মুক্ত পাঠ থেকে ৩০টির মতো প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি মাইক্রোসফট ইনোডেটিভ এডুকেটর সার্টিফিকেট অর্জন করেন এবং জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নেকটার) বগুড়া হতে ৩০ দিনের আইসিটি প্রশিক্ষণ নেন। তাছাড়া শিক্ষক বাতায়নের সদস্য হিসেবে নিয়মিত ব্লগ, ভিডিও এবং কন্টেন্ট আপলোড করে যাচ্ছেন।

মো. শরিফুল ইসলাম কৃতিত্বের সাথে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে বিএসএস (অনার্স), ঢাকা কলেজ থেকে এমএসসি (গণিত) ডিগ্রি অর্জনসহ পেশাগত শিক্ষায় ঢাকার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড কোর্স সম্পন্ন করেন।

তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. তাজুল ইসলাম (৬৮) ও মাতার নাম আফিয়া ইসলাম (৬৫) । তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট।

স্ত্রী আরিফা আক্তার শিমু (২৫) শিক্ষকতা করেন। মেয়ে মেহেরিমা ইসলাম (৬) ও ছেলে নবজাতক সাফিউল ইসলামকে নিয়ে তার সুখের বর্ধিষ্ণু সংসার।

মো. শরিফুল ইসলাম তার উচ্ছসিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আইসিটি নিয়ে জেলা, উপজেলা ও নিজ বিদ্যালয়ে কাজ করার ইচ্ছে ছিল অনেকদিন ধরে। সেই সুযোগ করে দিয়েছে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই’র আইসিটি ফর এডুকেশন।

এর স্বীকৃতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগামী দিনে নিজ বিদ্যালয়সহ জেলা ও উপজেলায় শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করণে শিক্ষাক্ষেত্রে চলমান আইসিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ হবে।

প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দীন আহাম্মদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে একুশ শতকের শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজন একুশ শতকের শিক্ষাব্যবস্থা। আর এই একুশ শতকের শিক্ষাব্যবস্থায় নেতৃত্ব দিতে প্রয়োজন একুশ শতকের শিক্ষক। এমনই একজন তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ দক্ষ প্রতিনিধিত্বকারী শিক্ষক পেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী লাভবান ও খুশি।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুন নাহার মাকছুদার বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে আইসিটি বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির আওতায় শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্ক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য আইসিটি’র বহুমাত্রিক ব্যবহারে প্রতি উপজেলায় অধিকসংখ্যক দক্ষ শিক্ষকদের আইসিটি ফর ই (ICT4E) জেলা শিক্ষক অ্যাম্বাসেডর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, যারা নিজ জেলা ও উপজেলায় শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষাক্ষেত্রে চলমান আইসিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রতিনিধিত্ব হিসেবে কাজ করবেন।  #

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর