হাওর বার্তা ডেস্কঃ এখনো আনুষ্ঠানিক অবসর না নিলেও জাতীয় দলে যে আর ফেরা হচ্ছে না মাশরাফির, সে কথা সবারই জানা।
২২ গজের মাঠের দৌড় প্রায় কমিয়ে দিয়ে মাশরাফি এখন সক্রিয় রাজনীতিতে। নড়াইল থেকে সংসদ সদস্য তিনি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের ফাঁকে দেশের ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলে যাচ্ছেন টুকটাক।
এরইমধ্যে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ ভক্তদের আকুতি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে মাশরাফিকে দেখতে চায় তারা।
বিষয়টি নিয়ে কম চর্চাও হয়নি ক্রিকেটমহলে।
সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সেই প্রসঙ্গ টানল যমুনা টেলিভিশন।
পাপনকে ক্রীড়া সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, একটা সময় তো থামতেই হবে (আপনাকে)। সেক্ষেত্রে বিসিবি সভাপতি পদে আপনার পরে মাশরাফির কথা বলে অনেকে!
জবাবে পাপন জানালেন, অনেকে চাইলেও মাশরাফি নিজে বিসিবি সভাপতি হতে চায় কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে তার। তবে মাশরাফির জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই বিসিবি সভাপতির।
পাপন বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে মাশরাফি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হইতে চায় কিনা আমার প্রথম সন্দেহ। বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদটা এখন বেশ জটিল। দেশে না, দেশের বাইরে। এই চাপটা ও নিবে কিনা বা নিতে চায় কিনা। ওকে তো আগে আসতে হবে।’
মাশরাফির আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কথা স্বীকার করেন বিসিবি বস। তাই নির্বাচনে এলে যে মাশরাফি জিতবেনই এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই পাপনের।
তবে ডাইরেক্টর হতে পারলেও প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন কিনা মাশরাফি, সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে বিসিবির এই কর্ণধারের।
পাপনের জবাব, ‘আমার ধারণা মাশরাফি ডেফিনেটলি নির্বাচনে জিতবে। আমার কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু ডাইরেক্টর হয়ে আসার পরে প্রেসিডেন্ট পদে পারবে কিনা এটা আমি নিশ্চিত না।’
তবে মাশরাফিকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা ছিল বলে জানালেন পাপন। কিন্তু জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক সংসদের সদস্য হয়ে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। এ কথা মাশরাফিও জানেন বলে দাবি করেন পাপন।
বলেন, ‘আমি সবাইকে বলতাম মাশরাফি যেদিন অবসর নেবে। ওকে আমি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার বানিয়ে দিব। কিন্তু মাঝখানে বিপদ হলো ও তো এমপি হয়ে গেল।’
পাপন হেসে বলেন, ‘এখন একজন এমপিকে আমি কিভাবে ম্যানেজার করি! আসলে রাজনীতিতে মাশরাফি খুব ব্যস্ত, এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’
বোর্ডের কোনো দায়িত্ব দিলে মাশরাফি এগিয়ে আসবেন এমন কথা কয়েকবার এসেছিল – সাংবাদিক এ কথার পিঠে পাপন বলেন, ‘আমি ওকে চিনি। যে কোনো দায়িত্ব দিলে ও আসতো না। আমি একটা দিলাম আর ও চলে আসবে, ব্যাপারটা এমন না। ওর সাথে ম্যাচ করতে হবে দায়িত্বটা। আমার আসলে ওর সঙ্গে বসেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’