বিশাল কনফারেন্স হল থাকছে। থাকছে সেমিনার কক্ষ। ভিআইপি লাউঞ্জ, সাংবাদিক লাউঞ্জও আধুনিক নকশায় গুরুত্ব পাচ্ছে। দলীয় প্রধান এবং সাধারণ সম্পাদকের জন্য পৃথক কক্ষ হবে বেশ বড় পরিসরে। থাকছে বেলকুনিও।
বহুতল ভবনটির প্রস্তাবিত নকশায় ফাইভ স্টার মানের আবাসিক কক্ষ রাখারও প্রস্তাব করেছিলেন দলের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। দলের সভানেত্রী সব দিক বিবেচনা করে সে প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তবে ফাইভ স্টার মানের না হলেও আবাসিক কক্ষগুলো যে অত্যাধুনিক হচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এই উপ-মহাদেশের মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দল। এই দলের কার্যালয়েরও বিশেষ ঐতিহ্য রয়েছে। দলের পরিধি বাড়ছে। বাড়ছে কাজের পরিধিও। সঙ্গত কারণে কার্যালয়ের পরিসর বাড়ানোও জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী দলগুলোর পার্টি অফিসের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসও অত্যাধুনিক হবে। দলের সভানেত্রী ইতোমধ্যেই সবচেয়ে আধুনিক নকশাটির অনুমোদন দিয়েছেন।’
দেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলা হচ্ছে অচিরেই। পুরাতন ভবন ভেঙে অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করা হবে আওয়ামী লীগ কার্যালয়স্থলে।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পাশাপাশি দলটির সকল সহযোগী সংগঠনের প্রধান অফিস থাকবে এই নতুন ভবনে।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর ২৩ নম্বরে অবস্থিত এই ভবনটি ভাড়া নিয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল দলটি। সম্প্রতি দলের পক্ষ থেকে ভবনের জায়গাটি কিনে নেয়া হয়।
পুরানো এবং জীর্ণ হওয়ার কারণে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে রীতিমত বেগ পোহাতে হচ্ছিল দলটিকে। বড় কোনো হল বা কনফারেন্স রুমও ছিল না কার্যালয়ে। বর্তমানে এই কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও মহিলা লীগের অফিস।
সম্প্রতি দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নতুন ভবন নির্মাণের বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
অাগামী ৩০ মে`র মধ্যে ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভবনটি খালি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী জুন মাসে পুরাতন ভবনটি ভেঙে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। ২ বছরের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়েছেন। রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত নতুন ভবনের নকশা ও পাইলিংসহ সমূদয় কাজ সম্পন্ন করার পর আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মূল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, ‘সময় এবং বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখেই ভবনটি নতুন করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি হবে বিশ্বমানের। সাংবাদিকদের জন্যও থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা।