ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ, যে ঘরোয়া পানীয়তেই জব্দ হবে এই রোগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
  • ১৩১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লিভারের একটি বিশেষ রোগ হলো ফ্যাটি লিভার। সোজা ভাষায় লিভারের অন্দরে ফ্যাট জমার ঘটনাকেই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলা হয়। এই রোগটি মূলত দুই ধরনের হয়-অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ও নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার।

জীবনযাত্রায় ব্যাপক অনিয়মের কারণে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা আগের থেকে ইদানীং অনেকটাই বেড়েছে। আসলে ভুঁড়ি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিভারের চারপাশে চর্বি জমার ঝুঁকি বাড়ে, তাই লিভারের কর্মদক্ষতা অনেকটাই কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লিভারে সামান্য ফ্যাট জমলে তা বিশেষ চিন্তার নয়। কিন্তু যদি লিভারের ওজনের পাঁচ থেকে দশ শতাংশ ফ্যাট জমে যায়, তাহলে তা লিভার সিরোসিস বা ফ্যাটি লিভারের আকার নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যার প্রথমিক লক্ষণ দেখা দিতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে পেটের উপরের ও মাঝের দিকে যন্ত্রণা, বমি ভাব, ক্লান্তিু, খিদে কমে আসা, মনঃসংযোগের অভাব ইত্যাদি উপসর্গ শরীরে দেখা যায়। ইদানীং অল্পবয়সিদের মধ্যেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

রসালো ও সুস্বাদু ফল তেঁতুল। শরীর থেকে মেদ ঝরাতে তেঁতুল দারুণ উপকারী। তেঁতুলের মধ্যে ভরপুর মাত্রায় খনিজ, ভিটামিন ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। তেঁতুলের ক্বাত্থ পলিস্যাকারাইড বা ডায়েটারি ফাইবার যেমন হেমিসেলুলোজ, পেকটিন, মিউকাস ও ট্যানিনের উৎস। ১০০ গ্রাম তেঁতুলের ক্বাত্থে ৫১ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এই ফাইবার খাবারের টক্সিন শরীরে পৌঁছতে দেয় না। লিভারকে টক্সিনের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থিয়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিনে ভরপুর তেঁতুল। এই সব অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তেঁতুল রাখতেই পারেন। রান্নায় বেশি করে তেঁতুল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বাঙালি রান্নায় তেঁতুলের প্রয়োগ কম। সেক্ষেত্রে তেঁতুলের শরবত নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।

কীভাবে বানাবেন তেঁতুলের শরবত?

বেশ খানিকটা তেঁতুল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তেঁতুল নরম হয়ে গেলে ক্বাত্থ বের করে নিন। এবার একটি গ্লাসে দু’চামচ তেঁতুলের ক্বাত্থ, ভাজা জিরে শুকনো মরিচের গুঁড়া, বিটলবণ, গেলমরিচের গুঁড়া আর এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে নিন। বরফ আর পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন তেঁতুলের শরবত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ, যে ঘরোয়া পানীয়তেই জব্দ হবে এই রোগ

আপডেট টাইম : ১০:৪৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লিভারের একটি বিশেষ রোগ হলো ফ্যাটি লিভার। সোজা ভাষায় লিভারের অন্দরে ফ্যাট জমার ঘটনাকেই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলা হয়। এই রোগটি মূলত দুই ধরনের হয়-অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ও নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার।

জীবনযাত্রায় ব্যাপক অনিয়মের কারণে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা আগের থেকে ইদানীং অনেকটাই বেড়েছে। আসলে ভুঁড়ি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিভারের চারপাশে চর্বি জমার ঝুঁকি বাড়ে, তাই লিভারের কর্মদক্ষতা অনেকটাই কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লিভারে সামান্য ফ্যাট জমলে তা বিশেষ চিন্তার নয়। কিন্তু যদি লিভারের ওজনের পাঁচ থেকে দশ শতাংশ ফ্যাট জমে যায়, তাহলে তা লিভার সিরোসিস বা ফ্যাটি লিভারের আকার নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যার প্রথমিক লক্ষণ দেখা দিতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে পেটের উপরের ও মাঝের দিকে যন্ত্রণা, বমি ভাব, ক্লান্তিু, খিদে কমে আসা, মনঃসংযোগের অভাব ইত্যাদি উপসর্গ শরীরে দেখা যায়। ইদানীং অল্পবয়সিদের মধ্যেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

রসালো ও সুস্বাদু ফল তেঁতুল। শরীর থেকে মেদ ঝরাতে তেঁতুল দারুণ উপকারী। তেঁতুলের মধ্যে ভরপুর মাত্রায় খনিজ, ভিটামিন ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। তেঁতুলের ক্বাত্থ পলিস্যাকারাইড বা ডায়েটারি ফাইবার যেমন হেমিসেলুলোজ, পেকটিন, মিউকাস ও ট্যানিনের উৎস। ১০০ গ্রাম তেঁতুলের ক্বাত্থে ৫১ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এই ফাইবার খাবারের টক্সিন শরীরে পৌঁছতে দেয় না। লিভারকে টক্সিনের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থিয়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিনে ভরপুর তেঁতুল। এই সব অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তেঁতুল রাখতেই পারেন। রান্নায় বেশি করে তেঁতুল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বাঙালি রান্নায় তেঁতুলের প্রয়োগ কম। সেক্ষেত্রে তেঁতুলের শরবত নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।

কীভাবে বানাবেন তেঁতুলের শরবত?

বেশ খানিকটা তেঁতুল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তেঁতুল নরম হয়ে গেলে ক্বাত্থ বের করে নিন। এবার একটি গ্লাসে দু’চামচ তেঁতুলের ক্বাত্থ, ভাজা জিরে শুকনো মরিচের গুঁড়া, বিটলবণ, গেলমরিচের গুঁড়া আর এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে নিন। বরফ আর পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন তেঁতুলের শরবত।