হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঈদের আগে ও পরে টানা দরপতনের পর রোববার দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
ঈদের আগের শেষ সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক কমে ১৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭০ শতাংশ। আর ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমে ১৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ। ফলে হতাশা নিয়েই ঈদে যেতে হয় শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের।
ঈদের আগের হতাশা ঈদের পরও দেখা দেয়। কারণ ঈদের ছুটি শেষে শেয়ারবাজার খুললে গত বৃহস্পতিবার লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ।
এ পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। এতে লেনদেনের ২০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
অবশ্য অল্প সময়ের ব্যবধানে আবার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়তে থাকে। লেনদেনের শেষ দিকেও এই প্রবণতা দেখা যায়। ফলে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৬৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪৪৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১২টির। আর ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৭২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৫০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেএমআই হাসপাতালের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৩৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৬ কোটি ৩৪ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জিপিএইচ ইস্পাত।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইউনিক হোটেল, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ওরিয়ন ফার্মা, ইফাদ অটোস, সাইফ পাওয়ারটেক, জিনেক্স ইনফোসিস ও ডরিন পাওয়ার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯১টির ও ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।